রাজশাহী জেলার জিরো পয়েন্টে চালু হতে চলেছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হাট
সুনন্দা বাসু প্রথম হাট শুরুর পরিকল্পনা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রস্তাব ছিল দীর্ঘদিনের। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার জিরো পয়েন্টে চালু হতে চলেছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হাট। দুই দেশের সীমান্ত এলাকার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী বাসিন্দারা এই বাজারে তাদের পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে পারবে।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী থাকবে নিরাপত্তার দায়িত্বে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এইরকম পাঁচটি হাট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে মালদহ-রাজশাহীর এই সীমান্ত হাটটি চালু হতে যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার আরও চারটি জিরো পয়েন্টকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার হাটের জন্য চিহ্নিত করেছেন।
সেগুলো হল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটের সঙ্গে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্ত, উত্তরবঙ্গের হিলি সীমান্ত, বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকা এবং নদীয়া জেলার গেদে-দর্শনা সীমান্ত এলাকা।
ফলে দুই দেশের কেন্দ্রীয় সরকার একমত হলেও ভারতের মোদি সরকারকে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত প্রাথমিক বিষয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বর্তমানে চারটি হাট রয়েছে। এরমধ্যে ভারতের মেঘালয়ের কালীচরণ ও বালাটে দুটি আর ত্রিপুরার শ্রীনগর ও কমলাসাগরে দুটি।
সীমান্তের এই হাটে মূলত পণ্য নিয়ে বসতে পারে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের গ্রামের মানুষজন। সীমান্ত এলাকায় মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে ২০১০ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ এবং ভারত সরকার সীমান্তে বর্ডার হাট সংক্রান্ত সমঝোতা স্বাক্ষর করে