মুকুলের দলত্যাগ বিরোধী আইনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে আজ
নিউজ ডেস্ক আজ অর্থাৎ বুধবার মুকুলের দলত্যাগ বিরোধী আইনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। গত বছর ১১ই জুন বিধানসভা নির্বাচনের পরে বাইপাসের ধারে তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল। তারপর তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকারের কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে, স্পিকারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এর পর সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে মামলায় গত ১১ই এপ্রিল স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, বুধবার দুপুরে ‘পুনর্বিবেচিত সিদ্ধান্ত’ ঘোষণা করতে পারেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১১ই ফ্রেব্রুয়ারি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু গত বছরের ১১ই জুন যে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, সেই সাংবাদিক বৈঠককে ‘প্রমাণ’ হিসেবে ধরে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরের বিধায়কের পদ খারিজের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় মুকুলের পিএসি চেয়ারম্যান পদ খারিজের দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন। গত মার্চ মাসে বিচারপতি নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গভাইকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, এক মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে। ইতিমধ্যেই কয়েক দফার শুনানি পর্ব চলেছে বিধানসভায়৷