Politics:তৃণমূলকে খোঁচা অমিত শাহের
শাশ্বতী চ্যাটার্জি::রবিবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের শেষ দিনে অমিত শাহের মুখেও বাংলার নাম।
এদিন নাম না করে তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূলকে বিঁধে তিনি বাংলাকেও পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলেন।
অমিত শাহের কথায়, কংগ্রেস পরিবারতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তাঁরা বিলুপ্ত হতে বসেছে জাতীয় রাজনীতিতে। এখন তারা অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই চালাচ্ছে। এভাবে বাংলাও একদিন পরিবারতন্ত্র মুক্ত হবে। একুশে বাংলার ভোটে গোহারা হারের পর বিজেপি উপনির্বাচনেও ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। বিজেপিকে পিছনে ফেলে ফের এগিয়ে আসছে বামেরা। তখন বাংলা নিয়ে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতিতে আলোচনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
সামনেই একাধিক ভিনরাজ্যে বিধানসভার ভোট। বিধানসভার ভোট মোদী-রাজ্য গুজরাতে। আবার যেখানে এবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসেছে বিজেপির, সেই তেলঙ্গানাতেও সামনের বছর বিধানসভা ভোট। সর্বোপরি ২০২৪-এর নির্বাচন রয়েছে দেড় বছরের মধ্যে। এই অবস্থায় জেপি নাড্ডার পর অমিত শাহের মুখে যেভাবে বারবার বাংলার কথা উঠে আসছে, তা নিয়ে স্পষ্ট বিজেপি বাংলার দিকে থেকে চোখ সরাচ্ছে না।
একুশের ভোটে বাংলাকে টার্গেট করেছিল বিজেপি। কিন্তু মমতা-ক্যরিশ্মায় বিজেপি পারেন বাংলার দখল নিতে। বাংলায় গোহারা হারতে হয়েছে বিজেপিকে। ২০২১-এ বাংলায় ২০০-র বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যমাত্রা রাখলেও থমকে গিয়েছিল ৭৭-এই। বিধানসভা ভোটের পর যত নির্বাচনে হয়েছে বাংলায়, তারা পিছিয়ে পড়েছে ক্রমশ। এই অবস্থায় বিজেপি ফের বাংলাকেই টার্গেট করল।
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হলেও বারবার ঘুরে ফিরে আসছে বাংলার নাম। ২০২৪-এর আগে বাংলাকে বিজেপি অন্য চোখে দেখছে। বাংলার ভোট হিংসা নিয়ে উদ্বোধনী বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়েছেন সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার পাশাপাশি বাংলায় কেন বিজেপি এগোতে পারছে না, তাও জানতে চেয়েছেন উপস্থিত নেতৃত্বের কাছে।
হায়দরাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগে রাজ্য সভাপতি ও দলের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে বাংলা নিয়ে আলাদা করে কথা বলেন জেপি নাড্ডা ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলায় বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব নিয়ে যেমন কথা হয়, তেমনই বিজেপির একটা অংশ বসে গিয়েছে কেন, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গেই বঙ্গ বিজেপির আন্দোলন বিমুখতা নিয়ে সরব হন কেন্দ্রীয় নেতারা।
জেপি নাড্ডার পর অমিত শাহ আবার বাংলায় পরিবারতন্ত্রের খোঁচা দিলেন। কংগ্রেসের প্রসঙ্গে উত্থাপন করে গান্ধী পরিবারকে নিশানা করার পর বাংলায় মমতা বন্যোারপাধ্যায়ের পরবর্তী প্রজন্ম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টিতে সর্বেসর্বা হয়ে ওঠাকেই কার্যত তিনি সামনে এনে পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলেন।