Murder:ক্যানিং-এ তৃণমূলের ৩ নেতা-কর্মী খুনের তদন্তে বড় সাফল্য পুলিশের
শাশ্বতী চ্যাটার্জি::ক্যানিং-এ তৃণমূলের তিন নেতা-কর্মী খুনে বড় সাফল্য পুলিশের।
ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর নাম আফতাবউদ্দিন শেখ। সে এফআইআর-এ নাম থাকা
বসিরুদ্দিন শেখের ভাই। জেরায় সে খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। এদিনই ধৃতকে আদালতে পেশ করা হবে।
ধৃত আফতাবউদ্দিন শেখ এফআইআর-এ থাকা বসির শেখের ভাই এবং সে ক্যানিংয়েরই বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ঘটনার দিন সকালে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি বাড়ি থেকে বাইকে চেপে হেড়োভাঙা বাজারে দলীয় অফিসে যাওয়ার সময়ে তাঁর ওপরে নজরদারি চালায় এই আফতাবউদ্দিন শেখ। মোটরসাইকেলে অনুসরণ করা ছাড়াও স্বপন মাঝি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা দুজনের খবর সে দেয় দাদা বসির শেখ ও বাপি ওরফে দিলবার মন্ডলকে। এরপর তার দেওয়া খবর মতো রফিকুল, বাপি, বসিররা রাস্তার ধারে চাষের জমিতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। স্বপন মাঝি আসা মাত্রই বাইক সহ আটকে দেয় এবং খুন করে ৩ জনকে। খুনের ঘটনাক পরেই এলাকা ছাড়ে আফতাব।
মূলত এলাকা দখলের লড়াইয়ে খুন করা হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝিকে। তাঁর বাধাতেই এলাকায় ঢুকতে পারছিল না রফিকুল সর্দার। দীর্ঘদিন ধরে এই বিরোধ থাকলেও খুনের মূল পরিকল্পনা করা হয় খুনের তিনদিন আগেক্যানিংয়ের ধর্মতলার মাঠে বসে। আফতাবকে দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বপন মাঝির গতিবিধির ওপরে নজরদারি করার জন্য। তাকে এর জন্য মোটা টাকার লোভও দেখানো হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের খুনের ঘটনায় যে ছয়জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়, তারা হল রফিকুল সর্দার, জালালউদ্দিন আখন্দ, বাপি শেখ, বাপি ওরফে দিলবার মন্ডল,এয়াইদুল্লা মন্ডল, আলি হোসেন লস্কর। এই ছয়জন এখনও অধরাই গয়ে গিয়েছে। এই তালিকায় অবশ্য ৩ জনের খুনের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার হওয়া আফতাবউদ্দিনের নাম ছিল না।
বৃহস্পতিবার সকালে ক্যানিং থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি ও তার দুই সঙ্গী তৃণমূলের বুথ সভাপতি ভূতনাথ প্রামানিক এবং অপর বুথ সভাপতি ঝন্টু হালদারকে রাস্তায় গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হয়। সকাল সাড়েআটটা নাগাদ পিয়ারের পার্ক এলাকায় হওয়া এই ঘটনার পরে এলাকা থেকে একটি তাজা বোমা ও তিনটি গুলির খোল উদ্ধার করে পুলিশ। তারপরে বারুইপুর পুলিশ জেলার তরফে খুনের ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়।
এই খুনের পরে তৃণমূলের বিধায়ক থেকে শুরু করে রাজ্য নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে খুনের অভিযোগ তোলেন।