গ্রেফতারে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে নুপুর শর্মা
নিউজ ডেস্ক::ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা নুপুর শর্মা!
গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। নবী নিয়ে গত কয়েকমাস আগে বিতর্কিত একটি মন্তব্য করেন নুপুর শর্মা। আর এরপরেই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন জায়গাতে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে।
বাংলা সহ, দেশের বিভিন্ন অংশে নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। একের পর এক অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতারের আশঙ্কাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী। সারা দেশে তাঁর বিরুদ্ধে নথিভুক্ত সমস্ত এফআইআরগুলিকে একত্রিত করার আবেদন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে গ্রেফতারির উপর আগাম স্থগিতাদেশ চেয়েছেন বিজেপি নেত্রী।
বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের প্রভাব পড়ে বাংলাতেও। বিভিন্ন জায়গাতে অশান্তির খবর সামনে আসে। আর এরপরেই বাংলাতে নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর হয়। এর মধ্যেই গত কয়েকদিন আগে ফের একবার নোটিশ পাঠানো হয় বিজেপি নেত্রীকে। কিন্তু প্রাণনাশের আশঙ্কা দেখিয়ে ফের হাজিরা এড়িয়ে যান বিজেপি নেত্রী। ইতিমধ্যে লুক আউট নোটিশও কলকাতা পুলিশের তরফে জারি করা হয়েছে। এই অবস্থায় বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী’র এহেন সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নুপুর শর্মা। সেই সময়ে দেশের শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলে, ক্ষমা চাওয়া উচিত নুপুর শর্মা’র। গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত।
গোটা দেশে মন্তব্যের কারণে যা ঘটেছে সেকারনে নুপুর শর্মা একাই দায়ী বলেও পর্যবেক্ষণে জানায় আদালত। তবে সেই সময় একই ভাবে সমস্ত এফআইআর পাঠানো হয় সেই সংক্রান্ত আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী। মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই সমস্ত মামলাগুলি ক্লাব করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন বলেও আদালতের কাছে দাবি জানান বিজেপি নেত্রী। আর এই ক্ষেত্রেও আদালত তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তবে খুব শিঘ্রই ফের এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে আদালত কি বলে সেদিকেই নজর সবপক্ষের।
বলে রাখা প্রয়োজন, কয়েকদিন আগে একটি টেলিভিশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিতকিত মন্তব্য করে বসেন নুপুর শর্মা। যা সংখ্যালঘু মানুষের আঘাত লাগে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের একাধিক দেশ এহেন মন্তব্যে’র তীব্র প্রতিবাদ জানায়।