রাজ্যেকে শেষ করে এখানে চিকিৎসায়!
নিউজ ডেস্ক::এসএসকেএম -এ চিকিৎসদের ওপরে রাজ্যের শাসকদলের রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে এই অভিযোগ এবং আদালতের নির্দেশ মতো এদিন সকালে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতা থেকতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাদার কাপড়ে ঢেকে নিয়ে গেলেও এইমসে ঢোকার মুখে তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এইমসে বারে বারে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেন সেখাননকার নিরাপত্তারক্ষীরা।
এসএসকেএমে রেখে মন্ত্রীকে জেরা করা সম্ভব নয়। হাইকোর্টে এই নিয়ে আগেই আবেদন করেছিল ইডি। তারপরেই গতকাল রাতে হাইকোর্টের বিশেষ শুনানিতে নির্দেশ দেওয়া হয় যে ভুবনেশ্বর এইমসে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তারপরেই সোমবার প্রায় কাকভোরে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসসি কাণ্ডে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
সকাল ৭টা নাগাদ বিমান ছিল তাঁর। সেকারণে ভোর ৬টাতেই এসএসকেএম হাসপাতালে থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় তৎপরতা কড়া িনরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে িনয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সঙ্গে ছিলেন ইডি আধিকারীকরা। এছাড়াও ছিলেন একজন চিকিৎসক এবং তাঁর আইনজীবী অনিন্দ্য কিশোর রাউত। সকাল ৯টার মধ্যেই তাঁর ভুবনেশ্বর পৌঁছে যাওয়ার কথা।
২২ জুলাই তাঁর বাড়িতে ইডি তল্লাশি শুরু করে। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় মন্ত্রীকে। জেরা চলাকালীনই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক িনয়ে যাওয়া হয়। ইডির গ্রেফতারির পরেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিিন। শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা একাধিক উপসর্গ থাকায় মন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়।
কিন্তু ব্যাঙ্কশাল কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানায় ED। সেখানে ইডির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাঁরা এইমসের চিকিৎসককে দিয়ে মন্ত্রীর অসুস্থতা পরীক্ষা করাতে চান। তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। প্রথমে কল্যাণী এইমসের কথা বলা হলেও বিচারপতি তাতে রাজি হননি।