জেলে গিয়ে কাঁথিতে সারদার প্রকল্প নিয়ে সুদীপ্ত সেনকে জেরা!
নিউজ ডেস্ক::এসএসসির (ssc) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (partha chatterjee) এবং ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (arpita mujherjee) গ্রেফতার এবং ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার পরে যেন নড়েচড়ে বসল কাঁথি তানার পুলিশ।
এদিন আইসির নেতৃত্বে কাঁথি থানায় পুলিশের একটি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করে সারদা (saradha) কর্তা সুদীপ্ত সেনকে (Sudipta Sen)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে সুদীপ্ত সেন আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে কাঁথির আবাসন সংক্রান্ত মামলায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও সৌমেন্দু অধিকারীকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন।
দীর্ঘ দিন পরে জেরার মুখে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। এদিন কাঁথি থানার পুলিশ আধিকারিকদের পাঁচজনের একটি দল প্রেসিডেন্সে জেলে গিয়ে কাঁথি পুরসভায় সারদার বিনিযোগের বিষয়ে জানতে চান। এব্যাপারে কাঁথি থানা সুদীপ্ত সেনের আগেকার অভিযোগও যাচাই করে দেখে। প্রায় তিন ঘন্টা ২০ মিনিট সুদীপ্ত সেনকে জেরা করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ করে বেরিয়ে যাওয়ার পথে কাঁথি থানার আইসি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন. সুদীপ্ত সেন তাঁদের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। তাঁর কাছ থেকে তাঁরা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। যে সময়ে ফাইল লোপাটের কথা বলা হয়েছে, সেই সময় বড় অঙ্কের লেনদেনের অভিযোগ কাঁথি থানা পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইসি। তবে ঠিক কী সুদীপ্ত সেন বলেছে, তা জানাতে অস্বীকার করেন আইসি।য তিনি শুধু জানান, তদন্ত চলছে, তদন্ত প্রক্রিয়া যেমন এগোবে, তেমনই সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হবে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সুদীপ্ত সেন সম্প্রতি কাঁথিতে সারদার বিনিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগ করেছিলেন এবং কাঁথি পুর চেয়ারম্যানের সাম্প্রতিক অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সুদীপ্ত সেনকে।
সাম্প্রতিক সময়ে কাঁথি পুরসভায় তৃণমূল চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, পুরসভা থেকে সারদা সংক্রান্ত ফাইল উধাও হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত যে সময়ে ফাইল লোপাটের কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান
ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী।
এব্যাপারে উল্লেখ করা যেতে পারে গত মাসের ২৪ তারিখ সুদীপ্ত সেনের একটি ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস (সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়া)। সেখানে সুদীপ্ত সেনকে বলতে শোনা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি কোটি কোটি টাকা দিয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে ব্ল্যাক মেল করতেন বলেও দাবি করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। কাঁথিতে কার কথায় গিয়েছিলেন, প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারীর নাম বলতে শোনা যায় সুদীপ্ত সেনকে। জমিতে প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্ল্যান চাইতে গেলেই ব্ল্যাকমেল করা হত বলে অভিযোগ করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। মূলত কুণাল ঘোষকেই সুদীপ্ত সেনের করা দাবি নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে।
তবে বিজেপির তরফে সুদীপ্ত সেনের অভিযোগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সৌমেন্দু অধিকারী কাঁথি পুরসভা ছেড়েছিলেন প্রায় দেড়বছর আগে। সেই সময় কোনও অভিযোগ তোলা না হলেও, এখন কেন ফাইল লোপাটের অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কাঁথি বিজেপি।
আর কেন হঠাৎ করে সুদীপ্ত সেন তৎপর হলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এর আগে শুভেন্দু অধিকারীও অভিযোগ করেছিলেন, তিনি বিজেপিতে যাওয়ার সময়েই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। তার আগে এব্যাপারে কোনও অভিযোগ তোলেননি সুদীপ্ত সেন।