সলমন খানকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি দিল মুম্বই পুলিশ
নিউজ ডেস্ক::বলিউডের সুপারস্টার সলমন খান ও তাঁর বাবাকে খুনের হুমকি ভরা চিঠি দেওয়ার পর থেকেই তটস্থ ছিল মুম্বই পুলিশ।
বাইরে টেনশন ফ্রি থাকলেও ভেতরে ভেতরে চাপা আতঙ্ক যে কাজ করছিল সলমন খানের তা বলাই বাহুল্য আর সে কারণে সলমন খান তাঁর ও তাঁর পরিবারের সুরক্ষার জন্য মুম্বই পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি চেয়েছিলেন। অভিনেতার সেই অনুরোধ মেনে বন্দুক রাখার লাইসেন্স দেওয়া হল সলমন খানকে। অভিনেতা গত ২২ জুলাই এই নিয়ে মুম্বই পুলিশ কমিশনার বিবেক ফানসালকারের সঙ্গে দেখাও করেন।
‘তোমারও হাল মুসেওয়ালার মতো করে দেব’ এ ধরনের হুমকি চিঠি পাওয়ার পরই সলমন খান তাঁর কাছে বন্দুক রাখার লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেন। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে পাঞ্জাবের মানসা জেলায় খুন হন কংগ্রেস নেতা ও পাঞ্জবী গায়ক সিধু মুসেওয়ালা। এই ঘটনার পরপরই সলমন খানকেও হুমকি চিঠি দেওয়া হয়। সলমন খানের অনুরোধের পর সেই আবেদন অভিনেতার এলাকার আওতায় থাকা ডিসিপি জোন ৯-এর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ডিসিপি জোনাল এরপর সলমন খানের এই আবেদন অনুমোদিত কার পরই অভিনেতা লাইসেন্স পান। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের সদর দফতরে সলমনের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়, যা বন্দুকের অনুমোদন পাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক। তার পরই সোমবার মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়, অভিনেতাকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে।
মুম্বই পুলিশ অনুযায়ী সলমন খানকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য লাইসেন্স জারি করা হয়েছে। তবে তিনি কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র কিনবেন তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে সাধারণত নিজেদের সুরক্ষার জন্য কোনও ব্যক্তি .৩২ ক্যালিবার রিভলবার বা পিস্তল কেনেন। প্রসঙ্গত, সলমন খানকে হুমকি চিঠি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন লরেন্স বিষ্ণোই, যে সিধু মুসেওয়ালা খুনের প্রধান সন্দেহভাজন।
উল্লেখ্য, সলমন খান কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালে একটি ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে আইন ভেঙে বিরল প্রজাতির হরিণ শিকারের অভিযোগ রয়েছে। আর এই কৃষ্ণসার হরিণের সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে রাজস্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায়, যেখানে যুক্ত রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই। এই বিষ্ণোই সম্প্রদায় কৃষ্ণসার হরিণের পুজো করে। তাই সেখান থেকে সলমন খানের ওপর রাগ রয়েছে বলেই পুলিশের কাছে আগেই জানিয়েছিল লরেন্স।