বিপুল টাকা আসলে কার?
নিউজ ডেস্ক::নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কোটি কোটি টাকার হদিশ পেয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট!
শুধু টাকাই নয়, একাধিক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তুবিপুল পরিমাণ এই টাকার উৎস কি? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। যদিও এই প্রশ্নের উত্তর জানতে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
সূত্রে খবর, জেরায় নাকি মন্ত্রী বান্ধবী জানিয়েছেন তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক পার্থই। তাঁকে নামি মিনি ব্যাঙ্ক হিসাবে মন্ত্রী ব্যবহার করতেন বলেই নাকি জেরায় জানিয়েছেন অর্পিতা। তবে এই বিষয়ে একেবারে স্পিকটি নট পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাওয়া হলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি ষড়যন্ত্রের কথা জানিয়েছিলেন।
যদিও যে ষড়যন্ত্র করেছে তা বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। আর এরপরেই এই বিষয়ে রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রীকে জেরা করা হয়। দফায় দফায় ইডির আধিকারিকরা জেরা করছেন পার্থকে। সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তিনি। এমনকি সংবাদমাধ্যমের ক্লিপিং দেখিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয় কে ষড়যন্ত্র করেছে?
তদন্তকারীদের এই বিষয়ে কোনও উত্তর দেননি পার্থবাবু। এমনকি সংবাদ মাধ্যমে এও দাবি করে বলেছিলেন, ওই টাকা তাঁর নয়। এমনকি তাঁর কোনও টাকা নেই বলেও জানিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। আজ সোমবার সেই বক্তব্যের ভিডিও দেখিয়েও ইডির আধিকারিকরা পার্থবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এই টাকার উৎস কি সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এমনকি তাঁর না হলে এই টাকা কার সেই বিষয়েও পার্থবাবুর কাছে জানতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রে খবর, দীর্ঘ জেরায় কিছুটা মেজাজ হারিয়েই নাকি পার্থবাবু জানিয়েছে, ওই টাকা তাঁর নয়। এমনকি টাকার লেনদেন তিনি করেন না বলেও নাকি ইডির আধিকারিকদের জানিয়েছেন পার্থ। যদিও তদন্তকারীরা মনে করছেন, সবটাই হয়তো জানেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
বলে রাখা প্রয়োজন, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার হয়েছে। পার্থ বান্ধবী অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে ২২ কোটি এবং ২৮ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি। এছাড়াও আরও বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। আর এরপরেই এই টাকার উৎসের খোঁজে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
যদিও এই বিষয়ে শাসকদলকে একহাত নিয়ে পথে নেমেছে বিরোধীরা।