এবার আটক দিল্লি থানায় বাংলার সি আই ডি অফিসাররা
নিউজ ডেস্ক:: ঝাড়খণ্ডের ঘটনায় এক অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশির জন্য আদালত থেকে পরোয়ানা নিয়ে দিল্লিতে এসে কার্যত আটক সিআইডি’র প্রতিনিধি দল। নয়াদিল্লির সাউথ ক্যাম্পাসে রামকৃষ্ণপূরম থানায় রাখা হয়েছে সিআইডি তদন্তকারীদের। বিজেপি ঘনিষ্ঠ সিদ্ধার্থ মজুমদার এর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে এসেছিলেন তাঁরা। এই ঘটনার পর কলকাতা থেকে গোয়েন্দা বিভাগের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক কে দিল্লিতে পাঠাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যাদের মধ্যে একজন এডিজি এবং দুজন আইজি পদমর্যাদার অধিকারী করেছেন।
ঝাড়খণ্ডের ঘটনার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে কলকাতায় বসে। হাওড়া থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় কলকাতার পুলিশের হাতে দুজন বিধায়ক আটক হন। বিরোধীদের অভিযোগ, অপারেশন লোটাসের জন্যই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনের সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য দিন দিন এক আগেই হাওড়ায় কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার হয়। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ডেও সরকার ফেলে দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে৷ এই পরিস্থিতির মধ্যে ঝাড়খণ্ডের শাসক দল কংগ্রেসের তিন বিধায়কের গাড়িতে থাকা বিপুল টাকা আসলে ঘোড়া কেনাবেচার জন্য দেওয়া হয়েছিল কি না, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রী৷ পাশাপাশি, ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কী ভূমিকা নেয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃৃণমূল নেতৃত্ব৷
টাকা উদ্ধারের পরই তিন বিধায়ককে আটক করে পুলিশ৷ হাওড়ার পাঁচলা থানায় টাকা গোনার মেশিন এনে কত টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা গোনা শুরু হয়৷ গভীর রাত পর্যন্ত যা শেষ হয়নি৷ তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গাড়িতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ছিল৷ ওই তিন বিধায়ককেই টাকার উৎস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ৷ সূত্রের খবর, ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ক জানিয়েছেন আদিবাসী এলাকায় বণ্টনের জন্য কলকাতার বড়বাজারে শাড়ি কিনতে ওই টাকা এনেছিলেন তাঁরা৷ এ দিন মন্দারমণি যাওয়ার পথে তাঁদের পুলিশ আটক করে৷ যদিও বিধায়কদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷