একই অঙ্গে ভিন্ন রূপ
নিউজ ডেস্ক ::বর্ষা এবার ভিন্ন রূপ দেখাচ্ছে গোটা দেশে।
কোথাও অতি বর্ষণ তো কোথাও বর্ষার ঘাটতি। এবছর ৯৫ শতংশ বেশি বৃষ্টি তামিলনাড়ুতে। এদিকে গঙ্গা তীরবর্তী রাজ্যগুলিতে বর্ষার ঘাটতি দেখা গিয়েছে। জুন-জুলাই মাসে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ রাজ্য অতি বর্ষণে ভেসেছে। অন্যদিকে পূর্ব এবং মধ্য ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির ঘাটতি শুরু হয়েছে।
বর্ষার শুরু থেকেই এবার একটু অন্যরকম গতিতে চলছে। ছক ভাঙা গতিতে এগোতে শুরু করেছে মৌসুমী বায়ু। এবার অনেক আগেই বর্ষার আগমন ঘটেছে দেশে। কিন্তু কেবল মাত্র দক্ষিণভারতের রাজ্যগুলিতেই প্রথম বর্ষার দাপ
দেখাতে শুরু করে। কেরল, তামিলনাড়ুতে অতিরিক্ত বর্ষণ হয়েছে এবার। জুন-জুলাইয়ের হিসেব যা বলছে তাতে তামিলনাড়ুতে ৯৫ শতাংশ বেশি বর্ষণ হয়েছে। যার জেরে রাজ্য কার্যত বন্যার কবলে পড়েছে। একাধিক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ২০১৮-র পর এই প্রথম তামিলনাড়ুতে এত বেশি বর্ষণ হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা সংলগ্ন এলাকায় রেকর্ড বেশি বর্ষণ হয়েছে এবার।
আবহাওয়া বিদরা যে তথ্য দিয়েছেন তাতে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত ২৭৯ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে তামিলনাড়ুতে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই সময় ১৪২.৮ মিলিমিটার বর্ষণ স্বাভাবিক। কাজেই প্রায় ৯৫ শতাংশ বেশি বর্ষণ হয়েছে। রাজ্যের ৪০টি জেলায় অগাস্টের প্রায় শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ষণ চলবে বলে জািনয়েছে হাওয়া অফিস। এই সময় স্বাভাবিক বর্ষণের পরিমান ১৬.১ মিলিমিটার হওয়া উচিত। সেজায়গায় ৩৪ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে।পাশের রাজ্য তেলঙ্গানাতেও অগাস্টে অতিরিক্ত বর্ষণ হয়েছে। ১ জুন থেকে ১০ অগাস্টের মধ্যে তেলঙ্গানায় ৭৯১.৯ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। অথচ এই সময় ৪২৮.৮ মিলিমিটার বর্ষণ হয়ে থাকে।
বর্ষার দাক্ষিণ্য থেকে বঞ্চিত এবার পূর্ব এবং মধ্য ভারতের রাজ্যগুিল। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মধ্য ভারতে এবার বর্ষার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুিলতে িনম্নচাপের কারণে বর্ষণ হলেও বর্ষার বৃষ্টি তেমন ভাবে হয়নি। যার জেরে গোদাবরী, কাবেরী নদীতে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ ভারতের ৪০ শতাংশ জলাধারে জল কমেছে। কারণ মধ্য ভারতে বর্ষণের ঘাটতি। এই নদীগুলির উৎপত্তি হয়েছে মধ্য ভারতেই।
আর হয়তো বড় জোর একমাস থাকবে বর্ষা। অক্টোবর মাসেই পাকাপাকি ভাবে বিদায় নেবে মৌসুমী বায়ু। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এখনও তেমন বর্ষা দেখা যায়নি। শুরুতে উত্তরবঙ্গে বর্ষণ হলেও সেটা পর্যাপ্ত ছিল না বলেই দাবি আবহাওয়া বিদদের। অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি হয়ে গেল তার মধ্যে বর্ষার তেমন দেখা মিলছে না রাজ্যে। দুটি নিম্নচাপ এলেও তেমন প্রভাব পড়েিন। রবিবার থেকে রাজ্যে বর্ষণের মাত্রা বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কিন্তু তাতে তেমন ঘাটতি মিটবে বলে আশা করা যাচ্ছে না।