পাস না করেই চাকরি, টেট দুর্নীতিতেও কেষ্ট-কন্যার নাম
নিউজ ডেস্ক::এবার টেট দুর্নীতিতে নাম জড়াল কেষ্ট -কন্যার। টেট পাসই করেননি সুকন্যা মণ্ডল! বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই চাকরিতেও ঘরে বসেই বেতন তুলতেন অনুব্রতর মেয়ে! কোনও ডিউটি নয়। স্কুলের তরফেই উপস্থিতির রেজিস্টার নিয়ে যাওয়া হত অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। তিনি শুধু স্বাক্ষর করে দিতেন। এভাবেই চাকরি করতেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডল। জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরেই কালিকাপুর প্রাইমারি বিদ্যালয়। সেখানেই শিক্ষকতার চাকরি করতেন অনুব্রত কন্যা। যদিও তিনি টেট-ই দেননি বলে অভিযোগ। এদিকে ২০১২ সালে টেটের পরই কালিকাপুর প্রাইমারি বিদ্যালয়ের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন সুকন্যা। কিন্তু অভিযোগ, যোগদানের পর থেকে আর বিদ্যালয়ে যাননি তিনি।
এদিন অভিযোগ ওঠে, শুধু মেয়ে সুকন্যা নন, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আরও ৫ জনের চাকরি হয় ওই একই সময়ে। যাঁদের মধ্যে কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ছাড়া রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাইপো সুমিত মণ্ডল ও সাত্যকি মণ্ডল, তাঁর আপ্ত সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরী ও সুজিত বাগদি। এদের সকলেরই তখন চাকরি হয় তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে। সেইসময় বীরভূম জেলার প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন রাজা ঘোষ। এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, ‘আমাদের কাছে যেমন লিস্ট এসেছিল, আমরা তেমন কাজ করেছিলাম। টেট পরীক্ষার সাথে আমাদের কোনও সম্পর্ক ছিল না। শুধুমাত্র জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজ করেছিলাম।’
উল্লেখ্য, এই রাজা ঘোষও অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয়। এই ঘটনা সামনে আসতেই বিরোধীদের দাবি, এভাবেই অন্যায়পূর্বক বেকার যুবক-যুবতীদে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।