কেষ্টর পরিবারের এক সদস্যের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা!
নিউজ ডেস্ক::গরু পাচার-কাণ্ডে নয়া মোড়! পাচারের টাকার উৎস খুঁজতে তল্লাশি সিবিআই আধিকারিকদের। বৃহস্পতিবার বোলপুরের বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজনকে ডেকে জেরাও করা হয় সিবিআইয়ের তরফে।
এমনকি বোলপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কেও এদিন হানা দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর তাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে এসেছে বলেই জানা যাচ্ছে। আর তাতে এনামুল এবং অনুব্রত যোগ আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। ফলে ক্রমশ অনুব্রত মণ্ডলের উপর চাপ বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত বারবার জানিয়েছেন, তিনি কোনও কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত নন। তবে এদিন নতুন করে বেশ কিছু নথি এবং সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন আধিকারিকরা।
বোলপুরের সুরুল মৌজাতে এনামুল হকের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ তদন্তকারীরা পেয়েছেন বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। এনামুল যিনি কিনা গরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর নামেই কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ চমকে দিয়েছে তদন্তকারীদেরও। সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন, অনুব্রত মণ্ডলের সাহায্যেই এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছিলেন এনামুল। যদিও এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে অনুব্রতকে জেরা করতে পারে সিবিআই।
অন্যদিকে এদিন এক রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে হানা দেয় সিবিআই। সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের এক সদস্যের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে। বিপুল পরিমাণ এই টাকা কীভাবে এবং কোথা থেকে এল সেটাই এখন পরীক্ষা করে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের নামে প্রায় ১৬ কোটি টাকার একটি এফডি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা।