ভারতীয় আম্পায়ারকে পরিচয় মনে করালেন পাকিস্তান অধিনায়ক
নিউজ ডেস্ক::এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচটি পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে ফাইনালের মহড়া। কাল ফাইনালে এই দুই দেশই পরস্পরের মুখোমুখি হবে। যদিও গতকাল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে জয়ের হ্যাটট্রিক সেরে ফাইনালেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইছে দাসুন শনাকার দল। অন্যদিকে, পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে ফাইনালে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাবর আজমের দল।
এরই মধ্যে ভারতীয় আম্পায়ার অনিল চৌধুরী জড়িয়ে পড়লেন ডিআরএস বিতর্কে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য ১২২ রানের টার্গেট তাড়া করছিল শ্রীলঙ্কা। ১৫ ওভারের শেষে জেতার জন্য তাদের দরকার ছিল ১৯ রান। শেষ অবধি ১৭তম ওভারেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় দাসুন শনাকার দল। ডিআরএস নিয়ে বিতর্কের ঘটনাটি ঘটে ষোড়শ ওভারে। এই ওভারটিতে বল করতে এসেছিলেন হাসান আলি। প্রথম বলটিতে ১ রান নেন পাথুম নিসঙ্কা। এই রানের সুবাদে তিনি পৌঁছে যান ৫৩ রান। দ্বিতীয় বলটি খেলেন দাসুন শনাকা।
এই বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক তা থার্ড ম্যান অঞ্চলে পাঠাতে চাইলেও মিস করেন। পাকিস্তানের উইকেটকিপার মহম্মদ রিজওয়ান কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন করেন। আম্পায়ার অনিল চৌধুরী আউট দেননি। পাকিস্তানের রিভিউ নেওয়ার সুযোগ ছিল। পাক অধিনায়ক বাবর আজম নিশ্চিত ছিলেন না বলটি শনাকার ব্যাটে লেগেছে কিনা। তিনি সতীর্থদের কাছ থেকে জেনে নিশ্চিত হওয়ার আগেই দেখা যায় বিষয়টি ডিআরএস আকারে অনিল চৌধুরী তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এরপরই বাবর আম্পায়ারকে গিয়ে বলেন, ম্যায় কাপ্তান হুঁ! নিয়ম অনুযায়ী ডিআরএস নিতে হলে ফিল্ডিং দলের অধিনায়কই সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। বাবর ডিআরএস নেওয়ার ইশারা না করলেও অনিল চৌধুরী রিভিউয়ের জন্য তা থার্ড আম্পায়ারের কাছে পাঠানোয় অসন্তোষ গোপন রাখেননি বাবর। শেষ অবধি এই রিভিউটি নষ্ট হয় পাকিস্তানের। যদিও এই ঘটনা যখন ঘটে তখন পাকিস্তান পরাজয়ের দোরগোড়ায়।
পাকিস্তান এই ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছিল নাসিম শাহকে। যাঁর জোড়া ছক্কা আফগানিস্তানকে হারিয়ে পাকিস্তানকে পৌঁছে দেয় ফাইনালে। তবে শাদাব খান গতকাল চোটের কারণে খেলতে পারেননি। বাবর ম্যাচের শেষে স্বীকার করে নেন, ব্যাটিং প্রত্যাশিত মানে পৌঁছাচ্ছে না। তবে জোরে বোলারদের পারফরম্যান্সে তিনি সন্তুষ্ট। হাসান আলি যেভাবে কামব্যাক করেছেন তারও প্রশংসা করেন পাক অধিনায়ক। এদিকে, পাকিস্তান শিবিরে স্বস্তির খবর ফাইনালের জন্য ফিট হয়ে গিয়েছেন শাহনওয়াজ দাহানি। সাইড স্ট্রেইনের কারণে তিনি সুপার ফোরের ম্যাচগুলি খেলতে পারেননি। কাল তিনি প্রথম একাদশে আসেন কিনা সেটাই দেখার।