কল্যাণী AIIMS-এর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বড় জয় মমতার সরকারের! 

0 0
Read Time:4 Minute, 6 Second

নিউজ ডেস্ক::আপাতত কল্যাণী এইমসের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালিয়ে যাবে সিআইডি । এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এব্যাপারে সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত এই মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন রাজ্যের একাধিক বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদরা।

মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০ মে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে উল্লেখ করা প্রয়োজন কল্যাণী এইমসে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল সম্পূর্ণ রূপে অস্থায়ী। তবে তার মধ্যে প্রভাব খাটিয়ে বিজেপির সাংসদ বিধায়কদের আত্মীয়দের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। সিআইডির তরফে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি-রোধ আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

প্রথমে এব্যাপারে এফআইআর দায়ের হয়েছিল কল্যাণী থানায়। তারাই এব্যাপারে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। পরে সেই মামলা সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। যাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মোদী মন্ত্রিসভায় থাকা মন্ত্রী, বিজেপি সাংসদ এবং একাধিক বিজেপি বিধায়ক। তালিকায় রয়েছেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার, রাণাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, চাকদহ এবং বাঁকুড়ার দুই বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ এবং নীলাদ্রিশেখর দানা।

এব্যাপারে ইতিমধ্যেই চাকদহ এবং বাঁকুড়ার দুই বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ এবং নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়েকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। কল্যাণী এইমসে নিয়োগে দুর্নীতিতে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন নদিয়া দক্ষিণ বিজেপির সাংগঠনিক সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি নীলাদ্রিশেখর দানা, বঙ্কিম ঘোষের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, বহু বিজেপি কর্মী শাসকদলের হাতে আক্রান্ত, অনেকের প্রাণ গিয়েছে। তাঁদের সংসারের দিকে খেয়াল না করে নেতারা নিজেদের পরিবারের দিকে নজর দিয়েছেন।

কল্যাণী এইমসে বেআইনি নিয়োগের তদন্তে সিবিআই দাবি করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল গত অগাস্ট মাসে। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে রাজ্য পুলিশ তদন্ত করতে পারে না বলে দাবি করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেছিলেন সুজিত চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি। এরপর তার শুনানি তলে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এর রায়দান হয়। সেখানে বলা হয়েছে আপাতত সিআইডি তদন্তে সন্তুষ্ট আদালত। তারাই এব্যাপারে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!