নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের চার্জশিট নিয়ে আইনি জটিলতা
নিউজ ডেস্ক::সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে চার্জশিট জমা দেয় তাতে প্রধান অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ১৬ জনের নাম আছে।তারমধ্যে অনেক সরকারি আধিকারিক আছে।
নিয়োগ কেলেঙ্কারির মূল পান্ডা হিসাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখানো হয়েছে। এছাড়াও আরও ১৫ জনের নাম রয়েছে সেখানে। রয়েছে এসএসএসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, জিফমধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম।
এছাড়াও এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের তৎকালীন প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্যের নামও রয়েছে চার্জশিট। আর সেখানেই তৈরি হয়েছে আইনি জটিলতা।সূত্রের খবর রাজ্যের কোনো মন্ত্রী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে সরকারের অনুমতি নিতে হয়।এটাই নাকি আইনি বিধান।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে,রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং অন্যান্য রাজ্যের আধিকারিক ছয়জনের নামে চার্জশিট জমা দিতে রাজ্যের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। গত দু’সপ্তাহ আগেই এই বিষয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আর তা চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু দিনের পর দিন কেটে গেলেও সেই অনুমতি মেলেনি বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। ফলে সরকারের অনুমতি না নিয়েই সরকারি পদে থাকা ওই ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই নিয়ে আইনজীবী মহল দ্বিধাবিভক্ত।অনেকে বলছেন,দুর্নীতি দমন আইনের ১৯ নম্বর ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে সরকারের অনুমতি ছাড়া চার্জশিট জমা দিলে তা গ্রাহ্য নয়।আবার অনেকে বলছেন,সিবিআই যদি আদালতকে দেখতে পারে যে ১৪ দিন আগে তারা সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল কিন্তু সরকার চিঠির কোনো উত্তর দেয় নি,তখন তদন্তকারী সংস্থার এক্তিয়ার থাকে চার্জশিট দেওয়ার।
এখন বিষয়টা আদালতের উপর নির্ভর করছে।