উত্তর কোলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ – বিতর্ক বিজেপি তৃণমূলের মধ্যে।
নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি উত্তর কোলকাতার বিজেপি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে তমোঘ্ন ঘোষ।সেই সভাপতির বাবা তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।বিতর্ক এখানেই।
তমোঘ্নর বাবা তপন ঘোষ দীর্ঘ দিন সুদীপের রাজনৈতিক সহকারী। আর তা নিয়েই তৃণমূল নেতাদের ইঙ্গিত, নিজের এলাকায় বিরোধী দলের গতিবিধি নজরে রাখতে সুদীপই বকলমে সভাপতি করেছেন তমোঘ্নকে। এদিন প্রথম বিতর্ক উস্কে দেন কুণাল ঘোষ। বলেন, “উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। ও তো সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেঠু বলত। ওকে সুদীপই বিজেপি তে পাঠিয়েছে, সুদীপই সমুই হলে ফেরতনিয়ে আসবে।
এরপর তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায় সুদীপ বাবুর নাম না করে তিনি বলেন, “পার্টিতে এই মুহূর্তে ডেডিকেটেড লয়ালিস্ট আর ডিভাইডেড লয়ালিস্ট – দুই ভাগ হয়েছে। ডিভাইডেড লয়ালিস্টরা অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।” তাপস রায় আরও একধাপ এগিয়ে এদিন মন্তব্য করেন, “খোঁজ নিন তমোঘ্নদের বাড়ির অষ্টমী পুজোয় শুভেন্দু আর সুদীপ দু’জনেই গিয়েছিলেন।” সব মিলিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে তরজা নানা বিষয়ে প্রতিদিন ঘটলেও , বিজেপির এক জেলা সভাপতি মনোনয়নে তৃণমূল নেতার হাত থাকার মতো ইঙ্গিত নিয়ে খোদ তৃণমূল নেতাদের একাংশের সরব হওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।এই নিয়ে সুদীপের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
তমোঘ্ন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যা বলার দল বলবে, এদের কথার গুরুত্ব দিই না। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বহু লোক বিজেপিতে এসেছেন বিভিন্ন পার্টি থেকে। তাঁদের আমরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও দিয়েছি। যাঁকে উত্তর কলকাতার সভাপতি করা হয়েছে, তিনিও রাজনীতি করতেন। এটা ঠিক, তিনি তৃণমূল থেকে এসেছেন। শুভেন্দু অধিকারীও তৃণমূল থেকে এসেছেন। তিনি আমাদের বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। অন্যান্য জেলাতেও জেলা কমিটিতে কেউ প্রেসিডেন্টও হয়েছেন। অন্য রাজ্যতেও হয়েছে। আমরা সুযোগ দিয়েছি। অনেকে সন্দেহ করছেন। ভবিষ্যতই বলবে সবকিছু। পার্টি চিন্তাভাবনা করে সব করছে।