১০০ জনের ভার বহনের ক্ষমতা, মোরবি সেতুতে চড়েছিলেন ৫০০ জন
নিউজ ডেস্ক::গুজরাতে মোরবি ব্রিজের দুর্ঘটনা নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যতর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে ১০০ জনের ভার বহনেরপ ক্ষমতা ছিল মচ্ছু নদীর উপরে তৈরি কেবল ব্রিজটির। সেটার উপরে রবিবার দিন ৫০০ জন চড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। অতিরিক্ত ভারের কারণেই ব্রিজটি ভেঙে পড়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গুজরাতের মোরবিতে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ভিড়। ব্রিজের ক্ষমতার অতিরিক্ত ভিড় হয়েছিল। সূত্রের খবর ব্রিটিশ আমলে তৈরি ব্রিজটি ১০০ জনের ভার বহনের ক্ষমতা ছিল। কিন্তু রবিবার দিন ছট পুজোর রাতে সেই ব্রিজে চড়েছিলেন প্রায় ৫০০ জন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে দুলছিল ব্রিজটি। অনেকে ব্রিজের উপরে লাথি মারছিল বলে দেখা গিয়েছে। তার জেরেই ব্রিজটি ভেঙে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোরবির পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২ কোটি টাকা খরচ করে ৬ মাস ধরে ব্রিজটি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে খোলার আগে কারোর অনুমতি নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ স্থানীয় পুরসভা বা প্রশাসনকে কোনও বিষয়ে জানানো হয়নি। ব্রিজ সাধারণের জন্য খোলার পর যাত্রী প্রবেশে কোনও নিয়ন্ত্রণও ছিল না। কাউকে না জানিয়েই রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা ব্রিজটি সাধারমের জন্য খুলে দেয় বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। সিট গঠন করা হয়েছে। গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কি কারণে দুর্ঘটনা তা নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি চলছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। পুরো দায় রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার উপরে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। গুজরাতে বিধানসবা ভোটের আগে এই ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরে। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই ময়দামনে নেমে পড়েছেন বিরোধীরা।
মোদী গুজরাতেই রয়েছেন এখন। তাঁর উপস্থিতিতে এই দুর্ঘটনা বিজেপি শিবেরর অস্বস্তি বাড়িয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে আজ গুজরাতে মোদীর রোড শো বাতিল করা হয়েছে। সর্দার প্যাটেলের মূর্তিতে মালা দিয়ে দুর্ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করার ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন এই দুঃসময়ে উচিত হাতে হাত মিলিয়ে একজোট হয়ে কাজ করার। ইতিমধ্যেই সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনা এক যোগে উদ্ধারকাজ করছে।