মহাকাশে কি আরও বাসযোগ্য পৃথিবী রয়েছে!
নিউজ ডেস্ক::বামন সূর্যের চারপাশে যে সমস্ত সুপার-আর্থ লুকিয়ে রয়েছে, তা বাসযোগ্যতার আদর্শ। সেখানে প্রাণও থাকতে পারে, সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সবথেকে বড় যে প্রশ্ন নিয়ে ভাবছেন, তার মধ্যে একটি হল- মহাবিশ্বে কি আরও একটি পৃথিবী রয়েছে? রয়েছে প্রাণও!
সম্প্রতি একটি নতুন আবিষ্কৃত গ্রহ নিয়ে গবেষণা চলছে। সেখানে বাসযোগ্য অঞ্চল থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এমনকী সেখানে প্রাণ থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। পৃথিবীর থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ বড় ওই গ্রহ। সেই কারণেই তাঁকে বলা হচ্ছে সুপার আর্থ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি লাল বামন নক্ষত্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় পর্যবেক্ষণ করেছেন ওই গ্রহটিকে। গ্রহটি নক্ষত্রের বাসযোগ্য অঞ্চলে রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। সূর্য থেকে আমাদের পৃথিবী যেমন অনকূল অবস্থানে রয়েছে, তেমনই অবস্থানে রয়েছে সুপার আর্থটি। নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের দ্বারা তা পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আরও অনুমান করেন যে, গ্রহটি সম্ভবত পাথুরে। এর একটি সিস্টার প্ল্যানেট পর্যবেক্ষণের সময় তা জানতে পারা গিয়েছে। সিস্টার প্ল্যানেটটিও একটি সুপার আর্থ। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ্খনও এই গ্রহ এবং গ্রহের পৃষ্ঠে বায়ুমণ্ডলের অবস্থা বুঝতে পারেননি। তবে উভয় গ্রহই তুলনামূলক শীতল, লাল-বামন নক্ষত্র থেকে প্রায় ৯৮ আলোকবর্ষ দূরে তা প্রদক্ষিণ করছে।
ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে আবিষ্কৃত অভ্যন্তরীণ গ্রহটি পৃথিবীর থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বড়। আনুমানিক তাপমাত্রা ১২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বাসযোগ্য হওয়ার জন্য খুব গরম বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন নাসা। গ্রাউন্ড-ভিত্তিক টেলিস্কোপ জরিপ ব্যবহার করে গ্রহটি পাওয়া গিয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবে সিস্টেমে একটি দ্বিতীয় গ্রহও আবিষ্কার করেছে।
নাসা জানিয়েছে, গ্রহের প্রকৃত তাপমাত্রা তাদের বায়ুমণ্ডলের উপর নির্ভর করে। তবে সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে গ্রহের বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব রয়েছে, যা এটিকে শুক্রের থেকে বেশি উষ্ণ করে তুলবে। বাসযোগ্যতার জন্য এই পৃথিবী খুব গরম। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দিয়ে এই অনন্য বিশ্বের বায়ুমণ্ডলীয় গঠন ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছে।
গবেষকরা গ্রহটি সম্ভাব্য বায়ুমণ্ডলীয় গবেষণার জন্য বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতিশীল। আসলে এটি ট্র্যাপিপিস্ট-১ গ্রহতন্ত্রের পরে প্রায় ৪০ আলোকবর্ষ দূরে পৃথিবীর আকারের সাতটি গ্রহের পরে এটি দ্বিতীয়। এবং তা সবথেকে অনুকূল বাসযোগ্য এবং স্থলজ গ্রহ। এখন এই গ্রহের বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা করার চেষ্টা চলছে। চেষ্টা চলছে প্রাণের সন্ধান পাওয়ারও।