সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু
নিউজ ডেস্ক::কথায় বলে, সুন্দরবনে ‘বনে বাঘ জলে কুমির ‘।এই নিয়েই ওদের জীবনসংগ্রাম।এভাবেই লড়াই করে ওদের বেঁচে থাকতে হয়।তাই মাঝে মাঝে ঘটে নির্মম মৃত্যু।
আবারও সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে দক্ষিণ রায়ের আক্রমনে মৃত্যু।মৃতের নাম দিলীপ সরদার ।শীতের মরশুমে বাঘের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ককরণ করা হয়েছিল আগেই । তাই নতুন করে আবার বাঘের আক্রমণের ঘটনার সামনে আসতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুনতলি ব্লকের কাঁটামারি গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সুন্দরবনের খাঁড়িতে ৬ জন সঙ্গী নিয়ে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল দিলীপ সর্দার। কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরা শেষ করে শনিবার বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল গোটা দলটি ।
বিদ্যাধরী নদীতে ভাটা থাকার কারণে নৌকাতেই জলখাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা । সেই সময় অতর্কিতভাবে জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে এসে দিলীপ এর ঘাড়ে কামড় বাসায়। অন্যান্য সঙ্গী সাথীরা বিপদ বুঝে ওঠার আগেই বাঘটি দিলীপকে নিয়ে জঙ্গলে চলে যায়। সঙ্গীকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে বাকিরা লাঠি নিয়ে বাঘের পিছনে ধাওয়া করতে শুরু করে। এরপর বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করার পর জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় তার রক্তাক্ত মৃতদেহ। নিথর দেহ উদ্ধার করে সঙ্গী সাথীরা গ্রামে নিয়ে আসে। তারা গ্রামে ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে দিলীপের গোটা পরিবার। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। দিলীপের এক মেয়ে এক ছেলে রয়েছে। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে বিপদ জেনেও জঙ্গলে পাড়ি দিয়েছিল।
এভাবেই সুন্দরবনের গ্রামে বিধবার সংখ্যা বেড়েই চলে।কিন্তু এভাবেই চলে ওদের লড়াই।এই লড়াই বেঁচে থাকার লড়াই।