ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে মদ্যপানের প্রবণতা বাড়ছে
নিউজ ডেস্ক::সম্প্রতি একটি গবেষণামূলক সংস্থা গবেষণা করে দেখেছেন,মহিলাদের মদ্যপানের সংখ্যা বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।দেশের রাজধানীতে এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।পিছিয়ে নেই কোলকাতা, ব্যাঙ্গালোর, মুম্বাইও।তথ্যে প্রকাশ কালীপূজা ও দীপাবলিতে ৩ দিনে ১০০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে রাজধানী শহরে।খুব পিছিয়ে নেই কোলকাতাও। যা দেখে রীতিমত অবাক হওয়ার জোগাড় দেশবাসীর। এই পরিস্থিতিতে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। সম্প্রতি একটি সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, ভারতে মহিলাদের মধ্যে মদ্যপানের প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ, মদের উপর আকর্ষণীয় অফার। এক বোতল মদ কিনলে আরও এক বোতল ফ্রি – এই জাতীয় অফারের দৌলতেই বেশি পরিমাণে কেনাকাটা করছেন সুরাপ্রেমী মহিলারা। এই বিষয়ে চলতি বছরই প্রায় ৫ হাজার মহিলার উপর সার্ভে করেছে সিএডিডি দিল্লি সার্ভে।
আলাদা করে সার্ভে হয়েছে অন্যান্য শহরেও।আর সার্ভারে রিপোর্ট মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়।নাগরিক মহল রীতিমত উদ্বিগ্ন এই রিপোর্ট দেখে।
এই সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, মহিলাদের মধ্যে মদ্যপানের প্রবণতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ, আগে একজন মহিলা যে পরিমাণ মদ্যপান করতেন, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশি মদ্যপান করছেন। সার্ভেতে সামিল ৫ হাজার মহিলাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশই এর কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, মদের দোকানগুলিতে একটি মদ কিনলে আরও এক বোতল মদ ফ্রি এই জাতীয় ছাড় পাওয়ার কারণেই তাঁরা বেশি পরিমাণে মদ্যপান করছেন। বলা যায়, দোকানগুলির এই আকর্ষণীয় অফার এড়িয়ে যেতে পারছেন না মহিলারা। সেইসঙ্গে আরও একটি তথ্য সামনে উঠে এসেছে।
করোনা মহামারীকালে গুজব রটেছিল, মদ্যপান করলে করোনা হবে না। ওই সময় থেকেই মহিলাদের মধ্যে মদ্যপান করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।তখন করোনা প্রতিরোধে মদ্যপান শুরু করলেও এখন সেই মহিলারাই নেশায় ডুবে গেছে।
এছাড়া অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে আছে মানসিক অবসাদ কাটাতে মদ্যপান করা।ওদের তথ্য বলছে, ৪২.৩ শতাংশ মহিলারা জানিয়েছেন যে তাঁরা অবসাদ কাটাতে এবং আনন্দ করার জন্য মদ্যপানের মাত্রা বাড়িয়েছেন। অনেকেই আবার বলেছেন, করোনা মহামারীর সময় লাগাতার দু-বছর গৃহবন্দী থাকার পর যখন ধীরে ধীরে মদের দোকান এবং বারগুলি খোলা শুরু হয়েছে, তখনও তাঁরা সাধারণ মাত্রার থেকে কিছুটা বেশি পরিমাণে মদ্যপান করেছেন। তবে প্রায় ৩০.১ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন, সময় কাটাতে এবং আনন্দ করতে তাঁরা মদ্যপান করে থাকেন।
এবার পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালে দেখা যাবে,গত ৫/৬ বছরে রাজ্য সরকার আয় বৃদ্ধির জন্য অজস্র মদের দোকান ও বারের অনুমতি দিয়েছে।সম্প্রতি রাজ্যসরকার ঘোষণা করেছে,প্রতি জেলায় সরকারের পক্ষ থেকে মদের দোকান খোলা হবে।এর পরিণামে নব্য যুবসমাজের মতো প্রলোভিত হচ্ছে নারী সমাজও।
এতে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিক মহল।