রুগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বোলপুরে হাসপাতালে উত্তেজনা
নিউজ ডেস্ক: বোলপুরের এক তরতাজা যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা।চিকিৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের এই অভিযোগ তুলে নার্সিংহোমে বিক্ষোভ, ভাঙচুর।চিকিৎসকের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মৃত যুবকের আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবদের বিরুদ্ধে।এদিন সকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই নার্সিংহোমে। বোলপুর থানার পুলিসকে আসতে হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মঙ্গলবার রাত্রে বোলপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে পেটের ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন শেখ ইনদাদুল ওরফে জুয়েল (২৪) এক যুবক। ইলামবাজার থানার অন্তর্গত পাইকুনি গ্রাম থেকে বোলপুরে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। এদিন ভোরবেলা সেই যুবককে মৃত বলে ঘোষনা করেন চিকিৎসকরা। যুবকের মৃত্যু সংবাদ পেতেই উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের পরিজনরা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। যুবকের চিকিৎসা ঠিকমত হয়নি, চিকিৎসায় গাফিলতির জন্যই যুবকের অকাল মৃত্যু হয়েছে – এই অভিযোগে সরব হন মৃতের পরিজন আত্বীয়রা। সময় যত গড়ায় উত্তেজনার পারদও তত চড়তে থাকে।
সেই উত্তেজনা থেকেই নার্সিংহোমে ভাঙচুর, চিৎকার চেঁচামেচি এমনকি চিকিৎসকদের গায়ে হাত পর্যন্ত তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ নার্সিং কর্তৃপক্ষের। যদিও তা অস্বীকার করেছেন মৃতের পরিজনেরা। মৃত যুবকের পিতা সাজেদ আলী মন্ডল অভিযোগ, ”চিকিৎসার গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে তার। কোন চিকিৎসাই করা হয়নি। আইসিইউ’র সামনে ফেলে রাখা হয়েছিল তার ছেলেকে। মৃত্যুর পর তাকে আইসিইউ’তে ঢোকানো হয়।
” অপরদিকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে অবনী মন্ডল জানান, ”যুবকের শারিরীক অবস্থা ভীষনই খারাপ ছিল। রক্তচাপ খুবই উচ্চ ছিল। রোগীর আত্মীয়দের উন্নত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হলেও তারা রাজি হয়নি।বরং হাই রিস্ক বন্ড দিয়ে চিকিৎসা করতে বলেন এখানেই। চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর মৃত্যু হয়।
ইদানীং চিকিৎসার গাফিলতি বার বার উঠছে।এর পরিণামে আইন নিজের হাত তুলে নিচ্ছে পেশেন্ট পার্টি।ফলে চিকিৎসকেরা শারীরিকভাবে নিগৃহীত হচ্ছে।