বিদেশ সরকারবিরোধী ক্ষোভ চীনে

0 0
Read Time:3 Minute, 4 Second

নিউজ ডেস্ক::বেজিং আবারো মারণব্যাধি থাবা বসিয়েছে ড্রাগন দেশে। সংক্রমণ বাড়ছে গোটা চীন জুড়ে। প্রশাসনের তরফে কোভিড বিধি কড়াকড়ি করা হয়েছে। যে হারের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে তাতে বেজিংসহ একাধিক শহর লকডাউনের পথে হাঁটছে। আর প্রশাসনের এই কোভিড নীতির বিরুদ্ধে চীনে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে ক্ষোভের আচ।
এই পরিস্থিতিতে উরুমকির একটি আবাসনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই বিক্ষোভের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। বাসিন্দাদের অভিযোগ কোভিড বিধি নিষেধ কঠোর হওয়ায় তালাবন্দি থাকার ফলে অনেক বাসিন্দা আবাসন থেকে বের হতে পারেনি। উদ্ধারকার্যে ব্যাঘাত ঘটেছে এই লকডাউনের কারণে। এরপরই সরকারবিরোধী ক্ষোভের আগুন জ্বলছে গোটা চীন জুড়ে। বেজিং, সাংহাই সহ একাধিক শহরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষ। রাতের অন্ধকারে মোবাইলের আলো জ্বেলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা, সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছে সেই সমস্ত প্রতিবাদের ছবি। তাদের দাবি “লকডাউন চাই না, মুক্তি চাই”।
ইতিমধ্যেই সংক্রমণের হার বাড়ায় বেইজিংসহ একাধিক শহরের শপিংমল পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাজধানী শহরে প্রবেশ করতে গেলে করোণা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সরকার এখনো করোনা শূণ্য নীতি থেকে সরে আসেনি। গোটা ড্রাগন দেশজুড়ে সংক্রমণ শূন্য না হওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে এই বিধিনিষেধ। যার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকায়, আবারো ক্ষতির মুখে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য এমনটাই আশঙ্কা করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সোচ্চার চীনা নাগরিকরা।
প্রশাসনের তরফ থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পাশাপাশি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয় স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!