ক্রিসমাসের আনন্দেও করোনার ভ্রুকুটিতে নতুন আতঙ্ক টাকির পর্যটকদের মধ্যে
নিউজ ডেস্ক::বড়দিনের আনন্দে ইতিমধ্যে মেতে উঠেছে বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ইছামতি পাড়ের টাকি পর্যটন কেন্দ্র। বসিরহাট, বারাসাত ও কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু পর্যটক ইতিমধ্যে ভিড় জমিয়েছেন টাকি পর্যটন কেন্দ্রের বিভিন্ন স্পট গুলিতে। রাজবাড়ী ঘাট, ঘোষবাবুর ঘাট ও মিনি সুন্দরবন সহ একাধিক স্পটে পর্যটকদের ভিড় ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে। পর্যটকদের একদিকে পরিকল্পনা রয়েছে নৌ বিহারের, অন্যদিকে চলছে দেদার পিকনিক, খাওয়া-দাওয়া, ভ্রমণ থেকে শুরু করে গান-নাচ ও সেলিব্রেশান। কিন্তু তার মধ্যেই পর্যটকদের মধ্যে নতুন আতঙ্কের ভ্রুকুটি সৃষ্টি করেছে বাড়তে থাকা করোনা আতঙ্ক।
হয়তো এখনো দেশে করোনা প্রভাব সেইভাবে পড়েনি। কিন্তু টাকিতে আগত পর্যটকরা ইতিমধ্যে বলছেন তারা কোনোভাবে ঝুঁকি নিতে রাজি নন। বিগত বছরগুলিতে যেভাবে করোনা আতঙ্কের সঞ্চার করেছিল মানুষের মধ্যে তার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার টাকিতে তাগত পর্যটকরা যথেষ্টই সচেতন। তারা একাধিক সতর্কতা নিতে এর মধ্যে শুরু করেছেন। তারা জানাচ্ছেন আনন্দ উৎসব চলবে, ক্রিসমাসের মজাও থাকবে কিন্তু তার মধ্যেও করোনার কথা ভুলে গেলে চলবে না। ন্যূনতম প্রিকোশান গুলো অবশ্যই নেওয়া জরুরি।
যদিও টাকি জুড়ে সকাল থেকেই পর্যটকরা একদিকে যেমন ইছামতি নদীর পাড়ে কেউ সেল্ফি তুলতে ব্যস্ত আবার কেউ যিশু খ্রীষ্টকে উৎসর্গ করে কেক কাটছেন। আবার কেউ ইছামতি পাড়ে গিটার নিয়ে গান ধরেছেন। সব মিলিয়ে বছর শেষের আগে টাকি পর্যটন কেন্দ্র যে জমজমাট সে কথা বলাই বাহুল্য।