প্রাচীনকালের গঙ্গা সাগর
নিউজ ডেস্ক :গঙ্গা সাগরের ও একটি প্রাচীন কাল আছে। তখন আলো ছিল না, রাস্তা ঘাট এতো উন্নত ছিলো না।প্রায় আড়াই দশক আগে সাগর সংগমে প্রথম গিয়েছিলাম।তখন প্রাইভেট বাসে যাত্রীদের বসার জন্য মেঝেতে খর বিছিয়ে দেওয়া হতো।২৫ -৩০ বছর আগের প্রাক আধুনিক গঙ্গা সাগরে ছিলো না বিদ্যুৎ।মেলার সময় চলতো ডিজেল – চালিত জেনেরেটর সেট।
গঙ্গাসাগরের যে প্রয়াগ, হরিদ্বার কুম্ভ মেলার চেয়ে আলাদা, তাঁর কারণ এই বৈষ্ণব আখড়ার জনসংস্কৃতি। আজও সাগরএ ভোরবেলায় একদিকে কপিল মন্দিরে।অন্যদিকে ওনকার নাথ ঠাকুরের মন্দিরের নামগান।কুম্ভ মেলায় দশনামী শিব ও বৈরাগী আখড়া পাশাপাশি, আর গঙ্গাসাগরে বৈষ্ণব একাধিপত্য।
এই সব দেখতে দেখতে ৫ নম্বর রাস্তা পেরিয়ে গ্রামের রাস্তা পেরিয়ে গ্রামের পথে।ইটের রাস্তা, সাগরতটের আলোক বৃত নেই।এখানে গঙ্গা সাগরে একমাত্র মসজিদ।ইমাম জানালেন,প্রতি শুক্রবার নমাজ পড়া হয়। ভীরের সংখ্যা, মসৃণ রাস্তা আর যাতায়াতএর সুবিধাই সব নয়। রোমান্টিকতা আর দুই সম্প্রদায়ের স্বতঃস্ফূর্ত মানবী কথাতেই আজও সাগর স্নানের মুক্তি।