কেন নেতাজি আজও বাঙালিদের আবেগ?

0 0
Read Time:5 Minute, 1 Second

নিউজ ডেস্ক :রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সমাজ বিজ্ঞানী এবং লেখক রা বলছেন, একজন সাহসী যুদ্ধক্ষেত্রের জেনারেল হিসাবে তাঁর ভূমিকা একজন ট্রাজিক হিরো ইমেজ, বিভিন্ন সম্প্রদায় লোকেদের একত্রিত করার ক্ষমতাএবং তাঁর উপস্থিত দেশভাগ রোধ করতে পারতো।

যেকোনো বাঙালি কে জিজ্ঞেস করুন,” কে আপনার নায়ক ” সিংহভাগই বলবে ‘নেতাজি ‘।তাঁর নিখোঁজ হওয়ার ৭ দশক পরেও সুভাষচন্দ্র বসুকে এখনো বাংলায় এবং বিশ্বব্যাপী বাঙালিদের জন্য এক নম্বর রাজনৈতিক নায়ক।

রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানী এবং লেখকরা বলেছেন, একজন সাহসী যুদ্ধ ক্ষেত্রের একজন জেনারেল হিসাবে তাঁর ভূমিকা একজন ট্র্যাজিক হিরো ইমেজ।বিভিন্ন সম্প্রদায় লোকেদের একত্রিত করা এবং তাঁর উপস্থিতিতে দেশভাগ রোধ করা বাঙ্গালীদের মধ্যে একটি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব পরিণত করেছে।

২২ শে অগাস্ট ১৯৪৫ টোকিও রেডিও থেকে ঘোষণা যে ১৮ অগাস্ট তৎকালীন জাপান অধিকৃত একটি বিমান সংঘর্ষ নেতাজি নিহত হন।দুর্ঘটনার পরে অর্ধ শতাব্দী ধরে বাংলা প্রায়ই নেতাজি আসন্ন প্রতাবর্তন জল্পনায় কল্পনায় জর্জরিত ছিলো।এমনকি নেতাজির অন্যতম ভাই সুরেশ ১৯৬৬ সালে দাবি করেছিলেন যে বিপ্লবী শীঘ্রই জনসমক্ষে আসবেন।

বিপুল সংখক বাঙালি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত নেতাজি আবীরভূত না হওয়ায় হৃদয় ভেঙে পড়েছিল।নাটক, গল্প,যাত্রা “নেতাজির প্রত্যাবর্তন “থিমকে ঘিরে বোনা হয়েছে।

কলকাতার দক্ষিণ উপকণ্ঠে বরিশা নেতাজি সংঘ ২৩ শে জানুয়ারি নেতার জন্মদিনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল।”শোষণ বঞ্চনার অনুভূতি জন্ম দিয়েছে। তাই বাঙালিরা সব সময় ট্রাফিক নায়কদের পছন্দ করে। বাঙ্গালীদের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।বোস তাঁদের কাছে ট্র্যাজিক হিরো এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বোস,তাদের কাছে ট্র্যাজিক হিরো এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব উভয়ই”, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রভাস কর বলেন।

সেকেন্ডলি,বোসের ভাবমূর্তি একজন “নির্ধারক নেতা “হিসাবে যিনি প্রমান করেছিলেন যে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

থার্ডলি,নেতাজির স্রোতের বিরুদ্ধে সফল ভাবে সাঁতার কাটতে পাড়া যা তাকে ১৯৩৯ সালে কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য মহাত্মা গান্ধীর হাত থেকে নির্বাচিত প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়া পরাজিত করতে দেখে।১৯৪১ সালে, তিনি গ্রেফতার থেকে পালিয়ে যান নির্বাসনে যান।সাহসের সাথে জার্মানি এবং তারপরে জাপানে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যান।

সবশেষে,নেতাজির ভারতীয় জাতীয় সেনা বাহিনী হিন্দু মুসলিম ঐক্যের প্রতীক। “বঙ্গভঙ্গের কারণে বাঙালিরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল,যা একটি বড়ো হিন্দু মুসলিম বিভাজন দেখে ছিলো।এটা জনগণের উপলব্ধি যে তিনি এই বিভাজন ঠেকাতে পারতেন”।

আমরা বাঙালিদের শিল্প, সংস্কৃতি সিনেমার প্রতি বেশি ঝোক দেখা যায়।এখানে একটি মাটির সন্তান যিনি প্রকৃত পক্ষে একটি সেনা বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন।”যে ভাবে তিনি ছদ্মবেশে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তা আমরা থ্রিলার মুভিতে দেখি।তাঁর কারিশমা দেশের প্রতি ভালোবাসা ভারতকে স্বাধীন করবার জন্য প্রচেষ্টা। তিনি ছিলেন এবং সবসময় থাকবেন।শুধু বাঙালি নয় সমগ্র দেশের জন্য “।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!