বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নজরে এবার গত ৬ বছরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ

0 0
Read Time:3 Minute, 50 Second

নিউজ ডেস্ক::একেই বলে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’! একেই জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলির রায়ে নাস্তানাবুদ রাজ্যের শিক্ষাপর্ষদ,তার উপর বিশ্বজিৎ বসুর নতুন আদেশ।
বৃহস্পতিবার আদালতের এই নির্দেশের ফলে আতশকাচের তলায় আসতে চলেছে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার স্কুলের চাকরি। গত ছ’বছরে অর্থাৎ ২০১৬ সালের পর থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে স্কুলে নিয়োগের একটিই পরীক্ষা হয়েছে। তবে বেশ কয়েক দফায় নিয়োগ হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর। এঁদের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি— ১১,৪২৫ জন। এ ছাড়াও একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক, ৪৪৮৭ জন গ্রুপ-ডি কর্মী এবং ২,০৩৭ জন গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এ বার এই সমস্ত চাকরিই নিয়োগপত্র পেয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা। বিড়ম্বনার পরে বিড়ম্বনা! এমন অবস্থা আগে কখনো হয় নি। বিচারপতি বসুর অভিমত, জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা নিয়োগে অনিয়ম বা জালিয়াতির দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। বৃহস্পতিবার মূর্শিদাবাদের একটি স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পর্যালোচনার সময় বিচারপতি বসু এই নির্দেশ দেন।

অভিযোগ ছিল, স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের নথি জাল করে প্রধানশিক্ষক পিতার স্কুলে চাকরি পান পুত্র। গত তিন বছর ধরে তিনি বেতনও পেয়েছেন। অথচ জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নিয়োগের কোনও নথিই ছিল না! ঘটনাটি জানার পরেই বিস্মিত বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, নিয়োগপত্রে নাম না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই ‘শিক্ষক’ এতদিন বেতন পেলেন! এর পরেই বিচারপতির সংযোজন, তবে তো এমন অনেক জালিয়াতিই হয়ে থাকতে পারে, যার এখনও খবরই নেই রাজ্যের কাছে! এর পরেই ক্ষুণ্ন হয়ে তিনি বলেন,২০১৬ সালের পর থেকে রাজ্যের সমস্ত মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুলে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগ যাচাই করার নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শকদেরই। কারণ, তাঁদের হাত দিয়েই স্কুলের নিয়োগপত্র হাতে পান শিক্ষক বা স্কুলের গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি’র মতো অশিক্ষক কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই হিসাব চেয়েছেন রাজ্যের কাছে। পাশাপাশিই বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, ওই হিসাব বা রিপোর্ট আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। অর্থাৎ, রাজ্যের হাতে সময় আছে দু’সপ্তাহ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!