ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি রুখতে কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের!
নিউজ ডেস্কঃ ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারিকর্মীরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি। সেই কর্মবিরতি রুখতে এবার পাল্টা কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, কর্মবিরতি পালন করলে তারা কতটা কঠোর হতে পারে।
২৮টি সরকারি কর্মচারী সংগঠনকে নিয়ে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় হারে রাজ্যের বকেয়া ডিএ-র দাবিতে তাঁরা মিলিত হয়েছে। এই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চে শামিল হয়ে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারে অবস্থানরত। তাঁরা এখন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনতে তীব্রতর রূপ দিতে দুদিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।
সরকারি কর্মচারীদের দাবি, যতক্ষণ না বকেয়া ডিএ দিচ্ছে তাদের আন্দোলন চলবে। তারা দুদিনের পেন ডাউন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বকেয়া ডিএ না দিলেন পঞ্চায়েত ভোটেও তাঁরা কাজ করবেন না। আর তাঁদের এই প্রতিবাদ আন্দোলনের পরই নড়চড়ে বসেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতি পালন করার ডাক দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বি্জ্ঞপ্তি জারি করে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কড়া অবস্থান নিয়েছে। নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার যাঁরা কাজ না করবে বা কর্মবিরতি পালন করবে, তাদের কর্মজীবন থেকে একটি দিন মুছে যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, সোমবার ও মঙ্গলবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হচ্ছে। যাঁরা এই দুইদিন আসবেন না অফিসে, তাদের কর্মজীবন থেকে একটি দিন বাদ যাবে। শনিবার এই মর্মে নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
নবান্ন কোনোভাবেই দুদিন পেনডাউন ও কর্মবিরতি পালনের ডাককে বরদাস্ত করবে না। অর্থসচিবের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উক্ত দুদিন কোনও সিএল নিতে পারবেন না সরকারি কর্মীরা। একমাত্র ছাড় মিলবে হাসপাতালে ভর্তি হলে, কিংবা পরিবারের কোনও সদস্যের প্রয়াণ ঘটলে।
কর্মবিরতিতে যোগ দিলে শোকজের মুখে পড়তে হবে ওই সরকারি কর্মীকে। ১৭ ফেব্রুয়ারির আগে যাঁরা ছুটির অনুমোদন পেয়েছেন তাঁরা এই নির্দেশিকার বাইরে থাকবেন। উল্লেখ্য, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছে। রাজ্য সরকার এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পরও অবস্থছানে অনড় রয়েছেন সরকারি কর্মীরা। তারপর তারা আবার কর্মবিরতির ডাক দিতে পাল্টা কড়া অবস্থান নিয়েছে সরকারও।