ক্যানসার রোগীদের এবার বিনামূল্যে দেওয়া হবে ৮০ হাজারের ইঞ্জেকশন
নিউজ ডেস্ক: ক্যানসার চিকিৎসায় ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইমিউনোথেরাপি নামের এক চিকিৎসা পদ্ধতির। কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশনের বাইরে এই চিকিৎসা আলোর দিশা দেখাচ্ছে বহু ক্যানসার রোগীকে। তবে এই চিকিৎসা এতটাই খরচ সাপেক্ষ যে সাধারন মানুষের পক্ষে তার সুবিধা ভোগ করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু এবার সরকারি হাসপাতালে পাওয়া যাবে এই ইমিউনোথেরাপির ওষুধ একেবারে বিনা মূল্যে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ক্যানসারের ৮০ হাজার টাকার ক্যান্সারের জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন পাওয়া যাবে সরকারি হাসপাতালে তাও বিনামূল্যে। ক্যানসারের এই জীবনদায়ী ওষুধের নাম নিভোলুম্যাব। এর এক একটি ভায়ালের (১০০ মিলিগ্রাম) দামই ৮০ হাজার ৫০০ টাকা। ৪০ মিলিগ্রাম ওষুধের ভায়ালের দাম ৩২ হাজার ৪০০ টাকা। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের ইডিএল বা এসেনশিয়াল ড্রাগ লিস্টে এই দুই মহার্ঘ ইঞ্জেকশনের নাম আগেই ছিল। তবে বার বার বাতিল হচ্ছিল টেন্ডার।
টেন্ডার প্রক্রিয়া সফল হওয়ার পরে এই দুই ইঞ্জেকশন এবার বিনামূল্যেই ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও বড় হাসপাতালগুলি চাহিদা অনুযায়ী এই দামি ইঞ্জেকশন রোগীদের জন্য দিতে পারবে।
চিকিৎসক বিজয় পাতিলের নেতৃত্বে ‘নিভোলুম্যাব’ নামের একটি ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গিয়েছে, ওষুধটি এক দশমাংশ হারে ব্যবহার করলেও সুফল পেতে পারেন ‘হেড অ্যান্ড নেক’ ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা।
রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপির চেয়েও এখন আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে ইমিউনোথেরাপি অনেক বেশি সফল। ক্যানসারের মতো মারণ অসুখের চিকিৎসাতেও ইমিউনোথেরাপির প্রয়োগ করছেন ডাক্তাররা। এই থেরাপি এখনও যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ। তাই ডাক্তাররা বলছেন, নিভোলুম্যাব নামে ওই মহার্ঘ ইঞ্জেকশন দায়িত্বশীল ভাবেই ব্যবহার করতে হবে। বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে বলে তার অপচয় যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।