তৃণমূলের টাকার পাহাড়ের বিরুদ্ধে ভোট চান শুভেন্দু!
নিউজ ডেস্ক : বিজেপির বুথ এজেন্ট হিসেবে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বসাতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের প্রচারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলে দিলেন, যাঁদের বাড়িতে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, তাঁদের কেন ভোট দেন?
শুভেন্দু বলেন, সাগরদিঘিতে গণদেবতাকে বলব আপনারা যদি তৃণমূলকে ভোট দেন, তাহলে অর্পিতা, পার্থ, মোনালিসা, হৈমন্তীদের বাড়বাড়ন্ত হবে। আপনাদেরকেই ঠিক করতে হবে তৃণমূলকে হারাতে পারবেন কি না। এত চুরির পরেও তৃণমূলকে কেন ভোট দেন? এবার চুরির বিরুদ্ধে ভোট হবে। ২৭ তারিখে চুরির বিরুদ্ধে, টাকার পাহাড়ের বিরুদ্ধে ভোট দিন।
শুভেন্দু বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির পোলিং এজেন্ট হিসেবে জন্য বহু মহিলা এগিয়ে এসেছেন। যাঁদের চাকরি না দিয়ে সর্বনাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারা বলছেন আমরা বঞ্চিত, আমরা বুথে এজেন্ট হিসেবে প্রথমবার বসব ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে। ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ বুথে বঞ্চিতদের এজেন্ট হিসেবে পেয়ে গিয়েছি আমরা। একশ শতাংশ বুথেই এজেন্ট দেওয়ার আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
আমরা নির্বাচন কমিশনারের অবজার্ভারের কাছে দাবি করেছি, বহিরাগতদের যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়। ২৬ এবং ২৭ কোথাও যাতে অবাঞ্ছিত জমায়েত না হয়। সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস এবং অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছে কি না, তা দেখতে হবে। ভোটারদেরকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবে তৃণমূল, তা রুখতে হবে।
শুভেন্দু বলেন, যদি কারো কোনো সমস্যা হয় সেটা আমাদেরকে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানান। আমরা সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণ করব নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে। আমরা চাই এই নির্বাচন অবাধ গণতান্ত্রিক ভয়মুক্ত পরিবেশে হোক। কিন্তু এখানকার সাধারণ প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তারা এই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপোকে খুশি করার জন্য নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন।
প্রথমে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্ডার হয়েছিল। আরও অতিরিক্ত ১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। তাদের সমস্ত বুথ কুইক রেসপন্স টিম সেক্টরে ডিপ্লয়মেন্ট করার জন্য ইতিমধ্যেই দাবি করছে। দাবি করেছি সাধারণ অবজারভারের কাছে। আমি আজকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। শতাধিক বুথে তালিকা দিয়ে তার মধ্যে চল্লিশটি বুথকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছি।
শুভেন্দু বলেন, আমাদের দাবি আগামীকাল সন্ধ্যা ছ’টার পরে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে যাঁরা ননভোটা আছেন, তাদেরকে কোথাও যেন দেখতে পাওয়া না যায়। ৩০ কোম্পানিকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা চাইছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন সক্রিয় না থাকে।
এদিকে সাগরদিঘি থানার ওসি-কে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না অভিজিৎ সরকার, জানাল কমিশন। সাগরদিঘির ওসি অভিজিৎ সরকারকে সরিয়ে অন্য জেলা থেকে সাগরদিঘিতে নতুন ওসি-কে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের।