রাজ্যপালকে নিশানা তৃণমূলের মুখপত্রের!
নিউজ ডেস্ক : রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্যপাল বিবৃতি দিতে গিয়ে বলেছিলেন সভ্য সমাজে হিংসার কোনও স্থান নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে রাজ্যপাল নীরব দর্শক হয়ে থাকবে না, বলেছিলেন তিনি। আর তার পরেই তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় রাজ্যপালকে নিশানা করা হল। সেখানে বলা হয়েছে, বিজেপি নয়, বাংলার দূত হোন রাজ্যপাল বোস।
কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনা নিয়ে রবিবার বিকেলে বিবৃতি জারি করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, হিংসা সভ্য আচরণের অংশ হতে পারে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যাঁরা আইন হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শিথিলতা কিংবা নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানান রাজ্যপাল। রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। ভয় কিংবা পক্ষপাত ছাড়াই দায়িত্ব পালনের কথা তিনি পুলিশ ও প্রশাসনের অন্য আধিকারিকদের স্মরণ করিয়ে দেন।
রাজ্যপালের রবিবারের বিবৃতি নিয়ে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, বিজেপি নয়, বাংলার দূত হোন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল নিজের চাকরি বাঁচাতে মাঠে নেমেছেন বলেও মন্তব্য করা হয়েছে তৃণমূলের মুখপত্রে। দিল্লির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়িত করতেই তিনি এসেছেন, না হলে বিএসএফ-এর গুলিতে নৃশংস মৃত্যুর পরে রাজ্যপাল কেন কোনও বিবৃতি দেন না, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। বাংলার মানুষের দূত হয়ে রাজ্যপাল নিরপেক্ষভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই তৃণমূল আশা করে বলে বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
রবিবার বিকেলে রাজ্যপাল বিবৃতি জারি করার পরেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে কথা বলার পরে রাজ্যপাল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বিজেপি অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী বিবৃতি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন কুণাল ঘোষ। উল্টোদিকের কারও কথা না শুনে রাজ্যপাল একতরফা বিবৃতি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
জগদীপ ধনখড় যে সময়ে রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন, সেই সময় রাজভবনকে বিজেপির পার্টি অফিস বানানোর অভিযোগ তৃণমূল করেছে বারে বারে। এদিন তৃণমূল মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে রাজ্যপাল বিজেপির গোপন অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়িত করার প্রতিনিধি, তা প্রমাণ করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। প্রাক্তন সেই রাজ্যপালের পথ অনুসরণ করার প্রতিযোগিতায় বর্তমান রাজ্যপাল নেমে পড়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।