H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ-সতর্কতা
নিউজ ডেস্ক::দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফ্লুয়ের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। যা শিশুদের প্রাণ সংশয়ের কারণ হিসেবেও উঠে এসেছে। সতর্ক না হলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণ, সতর্কতা এবং করণীয় পদক্ষেপ নিয়ে বার্তা নিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
ইনফ্লুয়েঞ্জা A সাবটাইপ H3N2 কে হংকং ফ্লু বলা হয়। এই ভাইরাস আক্রান্তের শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। সাধারণভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জাকে A, B, C, D এই চারভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা A ও B সাধারণভাবে বার্ষিক মরসুমী মহামারীর জন্য দায়ী। H3N2 হল ইনফ্লুয়েঞ্জা A-এর একটি সাবটাইপ।
সাধারণভাবে গরম থেকে ঠান্ডা কিংবা ঠান্ডা থেকে গরম যখন পড়ে, সেই সময় মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে ইনফ্লুয়েঞ্জা। এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপে অসুস্থতা বৃদ্ধি এবং কাশির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, গরম আরও একটু বাড়লেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
গলা ব্যথা, কাশি, জ্বর, সর্দি কিংবা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা ব্যথা, মাথা ব্যথার ক্লান্তি অনুভূত হওয়া H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির বমি কিংবা ডায়ারিয়াও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণভাবে একসপ্তাহ সময় লাগে এর থেকে সুস্থ হতে। তবে কারও কারও সময় আরও বেশিই লাগে।
H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমেই আসে বিশ্রামের কথা। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হয়। জ্বর কমানোর প্যারাসিটামল প্রয়োজনে খুব বেশি ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যথার ওষুধ খেতে হবে। তবে পুরোটাই করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে। কেননা কারও কারও ক্ষেত্রে অন্য উপসর্গও থাকতে পারে। সেগুলো চিকিৎসকরাই ভাল বুঝতে পারবেন।
H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ করতে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এর মধ্যে প্রতিবছর টিকা নেওয়াটাও একটা প্রক্রিয়া। এছাড়া সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়া, অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়ানো এবং হাঁচি কিংবা কাশির সময় মুখ ও নাক ঢেকে রাখতে হবে।
H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা সাধারণভাবে হাচি-কাশি কিংবা কথা বলার সময় ছড়িয়ে পড়ে। সেই কারণে হ্যান্ডশেক করা, জনসমক্ষে থুথু না ফেলাই উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না। একসঙ্গে খাওয়া কিংবা কাছাকাছি বসা থেকে বিরত থাকতে হবে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, গর্ভবতী মহিলা, ছোট শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি। সেই কারণে সতর্ক থাকতে হবে।