কালীঘাটে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা
নিউজ ডেস্ক : সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র হারাতে হয়েছে ১২ বছর পর। সংখ্যালঘুরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে এই হারের পর। মুখ্যমন্ত্রী তা জানতে কমিটিও গড়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে সেই রিপোর্ট। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ১৭ মার্চ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও সেই বৈঠকে হাজির থাকার কথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য মনে করছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতির কারণেই এই বৈঠক। তৃণমূল সুপ্রিমো জানতে চাইছেন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য দল কতটা তৈরি। সেইমতোই পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ধার্য করা হবে। শুক্রবারের বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য নীতি নির্ধারণ করতে চাইছেন তিনি।
সেইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কিছু নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়েই দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ওইদিন যে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের প্রসঙ্গ উঠবে তা নিশ্চিত। উপনির্বাচনে হারের পর নড়চড়ে বসেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল নেতৃত্বকে ভাবিয়ে তুলেছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘি কেন্দ্রে হার। কেন সাগরদিঘির মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিলেন তৃণমূলের থেকে। উপনির্বাচনে হারের কারণ জানতে তড়িঘড়ি পাঁচ সদস্যের একটা কমিটি গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি সাগরদিঘি উপনির্বাচনের হারের কারণ পর্যালোচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট পেশ করবেন।
প্রার্থী বাছাইয়ে গলদ, দুর্নীতির কোপ, নাকি সংখ্যালঘুদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেইসঙ্গে বাম-কংগ্রেসের জোটের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাতের ফলেই তাদের হারতে হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখাই তৃণমূলের উদ্দেশ্য।