শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলির খরচে লাগাম টানতে তৎপর নবান্ন
নিউজ ডেস্ক : আকাশ ছোঁয়া খরচ শহর এবং শহরতলির বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে! সেখানে চিকিৎসা করাতে গেলে মাঝে মধ্যেই ঘটি বাটি বিক্রি হয়ে যায় আম আদমির। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে মানুষের। আর সেই আঁচ পেয়েই এবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির খরচেও লাগাম পরাতে চলেছে রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ফ্রি। বেশ কিছু ক্ষেত্রে যদিও বেঁধে দেওয়া হয়েছে দামও। যাতে উপকৃত হন সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় এবার বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নিয়েও বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
বেসরকারি হাসপাতালগুলির রমরমা বন্ধে ইতিমধ্যে একটি একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়েছে। যেখানে একাধিক বিশিষ্ট চিকিৎসককে রাখা হয়েছে। রয়েছেন আরও ছয়জন প্রশাসক। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা, উপদেষ্টা সহ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিনিয়ার সচিবদেরও এই কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত কোন কোনও ক্ষেত্রে কত খরচ হতে পারে তা বেঁধে দেওয়াই হবে এই কমিটির কাজ।
বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বেডের ভাড়ার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যেমন খুশি মানুষকে চার্জ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষা করার ক্ষেত্রেও দামের একাধিক ফারাক। ওপিডি, আইপিডি সহ বিভিন্ন খরচের ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলি যে যেভাবে পারে বিল করে। আর তা দিতে হিমশিম অবস্থা হয়। আর তা যাতে না হয় সেদিকে তাকিয়ে এই কমিটি এই সমস্ত জিনিসের দাম বেঁধে দেবে। ফলে এর থেকে বেশি কেউ আর নিতে পারবে না।
তবে প্রথমে কলকাতা এবং শহরতলির হাসপাতালগুলিকে একটি ক্যাটাগরিতে নিয়ে আসা হবে প্রথমে। এরপরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এর আগেও বেসরকারি হাসপাতালগুলির খরচের নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটি কমিটি তৈরি করা হয়। এই কমিটি নানা ভাবে মানুষকে উপকার করে থাকে। বিশেষ করোনার সময় নানা ধরণের সিদ্ধান্ত মানুষকে সুবিধা দিয়েছিল। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলির যথেচ্ছাচার নিয়ন্ত্রণে নবান্নের সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী হতে পারে। বেসরকারি হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে মানুষের মধ্যে। এই অবস্থায় এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে স্বস্তি মিলবে আমজনতার।