জেলাভিত্তিক দায়িত্ব বন্টন মমতার
নিউজ ডেস্ক : ১৭ মার্চ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সভা করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সভা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বৈঠকে মমতা, অভিষেক ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের প্রায় সমস্ত শীর্ষ নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠকের গুরুত্ব অপরিসীম। জানা গিয়েছে, শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকে তৃণমূল ফিরিয়ে এনেছে তাদের পুরনো ব্যবস্থা। আগে তৃণমূলে ছিল জেলা ভিত্তিক পর্যবেক্ষক ব্যবস্থা। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সেই ব্যবস্থা অবশ্য তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু জানা যাচ্ছে, শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকে বেশ কিছু নেতাকে কিছু কিছু জেলা দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও এ ব্যবস্থাটিকে ঠিক পর্যবেক্ষক ব্যবস্থা বলতে রাজি নয় তৃণমূল। সাগরদীঘি নির্বাচনের ফলাফলের বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই তৃণমূল আবার পুরোনো ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাইছে।
এই সভার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ততার কারণে চলে গেলেও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
তাঁরা জানান দলের বেশ কিছু নেতাকে কয়েকটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন- অরূপ বিশ্বাস দায়িত্ব পেয়েছেন বর্ধমান, নদিয়া এবং দার্জিলিংয়ের। ববি হাকিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাওড়া ও হুগলির। জঙ্গলমহলের ২ জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের দায়িত্ব পড়েছে মলয় ঘটকের ওপর। বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের, যা সুকান্ত মজুমদারের জেলা বলে পরিচিত। ফলে তৃণমূল আবার নতুন করে নিজেদের ঘর সাজিয়ে নিয়েছে। সেই অনুযায়ী তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
তবে উল্লেখ্য, বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল জেলে থাকায় ওখানে নতুন কোনো সভাপতি নির্বাচন করা হয় নি। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বীরভূম দেখার দায়িত্ব নিয়েছেন।