অবশেষে গ্রেফতার শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল!
নিউজ ডেস্ক : শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে গ্রেফতার করল ইডি। ৩৭ ঘণ্টা জেরার পর অয়ন শীলকে গ্রেফতার করা হয়। গত তিন দিন ধরে তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের যোগ পাওয়া গিয়েছে অয়ন শীলের সঙ্গে।
নিয়োগ দুর্নীিত মামলায় আরও এক গ্রেফতারি। এবার গ্রেফতার বলাগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। গত তিনদিন ধরে লাগাতার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ নেতা অয়ন শীলের সঙ্গে ৫০ কোটি টাকার লেনদেনের যোগ পেয়েছে ইডি। তাঁর সল্টলেকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি। পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত ওএমআর শিটও উদ্ধার হয়েছে অয়ন শীলের বাড়ি থেকে।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করে অয়ন শীলের নাম জানতে পেরেছিল ইডি। তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে গত তিনদিন ধরে দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। অয়ন শীলের দুটি বিলাস বহুল গাড়ি রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। গাড়ি দুটি অয়নের কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশন করানো রয়েছে। অয়নের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ৬০ থেকে ৭০টি পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর শিট উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে অয়ন শীলের বাড়ির কম্পিউটার থেকেও একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য উদ্ধার হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের সঙ্গে ৫০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অয়ন শীলের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট এবং তাঁর কোম্পানির অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে বিপুল আর্থিক লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান কুন্তল ঘোষ, শান্তুন বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীলরা কেবল শিক্ষক নিয়োগ বা এসএসসি নিয়োগ নয় পুরসভার নিয়োগেও ব্যপক দুর্নীতি চালাতেন। এবং তার জন্য কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনও হত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে ৩৭ ঘণ্টা ধরে জেরা করেছে ইডি। শান্তনুর সঙ্গে প্রমোটার অয়ন শীলের কীভাবে যোগাযোগ কীভাবে অয়ন শীলের অফিসে ওএমআর শিট পৌঁছল তা নিয়ে জেরা করা হচ্ছে। এখনও েহফাজতে নিয়ে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। সোমবার ভোট সাড়ে ৩টে নাগাদ গ্রেফতার করা হয় অয়ন শীলকে। ইতিমধ্যেই কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তদন্তকারীদের অনুমান কালো টাকা সাদা করতেই অয়ন শীলের প্রমোটিংয়ের ব্যবসাকে কাজে লাগানো হত।