গার্হস্থ্য রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারে ভর্তুকি!
নিউজ ডেস্ক::প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের বড় বড় সুবিধার ঘোষণা মোদী সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গার্হস্থ্য এলপিজি সিলিন্ডারের ভর্তুকি ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার পরিচালিত এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীরা এরপর থেকে আরও সস্তায় রান্নার গ্যাস পাবেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, উজ্জ্বলা যোজনায় ৯.৫৯ কোটি সুবিধাভোগী প্রতিটি ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারে ২০০ টাকা করে ভর্তুকি পাবেন। ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে এটি মোদী সরকারে বড় সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন এই প্রকল্পের অধীনে ভর্তুকিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সারা বছরের জন্য ১২ টি সিলিন্ডারে ভর্তুকি দেওয়া হবে। প্রথম ১২ টি সিলিন্ডারের প্রতিটির জন্য ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য যেখানে ব্যয় হয়েছিল ৬১০০ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৩-২৪ সালে ব্য ধরা হয়েছে ৭৬৮০ কোটি টাকা।
উল্লেখ করা প্রয়োজন ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি , ২০২২-এর ২২ মে থেকে এই ভর্তুকি দিয়ে আসছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে ভূ-রাজনৈতিক কারণে আন্তর্জাতিক স্তরে এলপিজির দাম বৃদ্ধি হয়েছে। সেই দাম বৃদ্ধি থেকে উজ্জ্বলা প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত। এই মাসের শুরুতেই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি ১৪.২ কেজির সিলিন্ডার পিছু ৫০ টাকা দাম বৃদ্ধি করেছে।
উজ্জ্বলা প্রকল্পের অধীনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা এলপিজি ব্যবহার যাতে চালিয়ে যেতে পারেন, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে পারেন, সে দিকে লক্ষ্য সরকারের। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই প্রকল্পে গড় এলপিজির ব্যবহার ২০১৯-২০ সালে ৩.০১ রিফিল থেকরে ২০২১-২২ সালে ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩.৬৮ ।
২০১৬-র ১ মে উত্তর প্রদেশের বালিয়ায় এই প্রকল্পের শুরু করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গ্রামীণ এবং বঞ্চিত পরিবারগুলির জন্য ( বিপিএল অর্থাৎ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারীদের জন্য) এলপিজি সরবরাহ করার উদ্দেশে পিএম উজ্জ্বলা প্রকল্প চালু করেছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল কাঠ, কয়লা, গোবরের মতো জ্বালানির দূষণ থেকে সাধারণ মানুষকে বিশেষ করে মহিলাদের দূরে রাখা। বিপিএল পরিবারের অধীনে থাকা মহিলারা সাধারণভাবে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করতে বনে-জঙ্গলে যান। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে গেলে আয়ের নির্দিষ্ট সীমার রয়েছে।