নিয়োগ দুর্নীতি প্রশ্নে মেজাজ হারালেন মদন মিত্র

0 0
Read Time:4 Minute, 53 Second

নিউজ ডেস্ক::নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন কামারহাটির বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা সাংবাদিক মদন মিত্র ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তাতেই অগ্নিশর্মা মদন!

এক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকের দাবি, তাঁদের কাছে কিছু অডিও রয়েছে। যাতে অভিযোগ, মদন মিত্রর নাম ব্যবহার করে তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আদায় করেছেন। যদিও চাকরি মেলেনি, টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। হুগলি-সহ বিভিন্ন জেলায় এমন অনেকেই প্রতারিত হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন বলেও অভিযোগ। যদিও কোনও সুরাহা মেলেনি।

মদন মিত্র অবশ্য ভাইরাল ভিডিওটিতে জোর গলায় দাবি করেছেন, তিনি ১০ হাজার ছেলে-মেয়েকে চাকরি দিয়েছেন। এমনকী তাঁদের কর্মস্থলে যোগদানের জন্য উপযুক্ত পোশাকও কিনে দিয়েছেন। একজন প্রাক্তন মন্ত্রী বা বিধায়ক কীভাবে ১০ হাজার জনকে চাকরি দিতে পারেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। যদি সরকারি কোটার কথাও ধরা হয় তাহলেও তো সংখ্যাটা এখানে পৌঁছয় না।

মদন মিত্র সারদা ও নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এবার চাকরি দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ানো ও ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরকে নিয়ে প্রতারিতদের হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে কামারহাটির বিধায়ককে প্রশ্ন করেছিলেন এক মহিলা সাংবাদিক। তাতেই প্রচণ্ড রেগে যান। জোর গলায় ১০ হাজার জনকে চাকরি দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন! তিনি আরও বলেন, যে অডিওটিতে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে সেটি পাঠাতে। প্রয়োজনে পুলিশের কাছে জমা দেওয়ারও চ্যালেঞ্জ জানান মদন।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী কামারহাটি পুরসভার কর্মী। কামারহাটি পুরসভাতেও বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি অভিযোগ শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। যাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁরা সামনে এসে যা বলার বলুন। যে সংবাদমাধ্যম এই অভিযোগ তুলেছে তারা তা প্রমাণ করতে না পারলে মানহানির মামলা করারও হুঁশিয়ারি দেন কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ।

এদিকে, মদন মিত্রর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বীরভূমের দলীয় জেলা সভাপতি পদে অনুব্রত মণ্ডলকে রেখে দেওয়ার প্রসঙ্গে। যদিও মদন সাফ বলেন, আমাকে পার্টি থেকে বলা হয়েছে দলের কোনও বিষয়ে না বলতে। ফলে পলিটিক্যাল পার্টি বাদে ব্যান্ড পার্টি, ডিনার পার্টি, ডান্স পার্টি নিয়ে আমি বলতে পারি। বি.এ., এম. এ. পড়েও কিছু হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন কামারহাটির বিধায়ক। যিনি কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, যথাযথ তদন্ত হলে নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক শ্বেতা, অর্পিতাদের নাম শোনা যাবে। কামারহাটি পুরসভায় গিয়ে বিধায়ক শ্বেতার সঙ্গে দেখাও করেছেন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উঠতেই মেজাজ হারিয়ে তা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ দিলেন সংবাদমাধ্যমকে!

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!