ডিএ আন্দোলনকারীদের ফের হুঁশিয়ারি মমতার
নিউজ ডেস্ক::চিরকুট ইস্যুতে ফের একবার ডিএ আন্দোলনকারীদের আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের! জনগণের টাকা নিয়ে পেনডাউন করে বসে আছে বলেও আক্রমণ তাঁর। শুধু তাই নয়, যারা আন্দোলনে বসেছে তাঁদের বেশিরভাগই চিরকুটে চাকরি হয়েছে বলেও আক্রমণ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। কেন্দ্রের বঞ্চনা সহ একাধিক দাবিতে টানা ৩০ ঘন্টার ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তার দ্বিতীয়দিন। আর সেই মঞ্চ থেকেই ফের একবার ডিএ আন্দোলনকারীদের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, গণশক্তিতে যারা চাকরি করেন তাঁদের প্রত্যেকের স্ত্রী শিক্ষিকা। সমস্তটাই চিরকুটে চাকরি বলে এদিন দাবি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, জনগণের টাকা নিয়ে পেনডাউন হচ্ছে বলেও আক্রমণ প্রশাসনিক প্রধানের। কথায় কথায় শুধু কাজে আসব না! জানে না এটা জনগণের টাকা। আর এরপরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, সাইলেন্ট পিস। নিজেদের ভালোর জন্যে চুপ করে থাকুন। আর এরপরেই শশীকে ডেকে তালিকা বার করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, সমস্ত দফতরকেই তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী কেলেঙ্কারির জন্যে নিচুতলার কর্মীদের দোষ দিয়ে মমতা আরও বলেন, চিরকুটে চাকরি পাওয়া সব ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা পেনশন পায়। আর এরপরেই চাকরি খাচ্ছে! মমতার কথায় এরা কর্মনাশা-সর্বনাশা। বাম এবং রাম একজোট হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। আর এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, টাকা চাই-পেনশন চাই আর এরপরেও কত চাই? না থেমেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এই দুরবস্থা নিয়েও ১০৬ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। এরপরেও এরা থাকছে না বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বুধবারও ডিএ আন্দোলনকারীদের নজিরবিহীন আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে চোর-ডাকাত বলে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল সব চোর-ডাকাতগুলো। সব ডিএ ওখানে গিয়ে বসে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা চিরকুটে চাকরি পান তাঁদের কাছ থেকে আমাকে জ্ঞান শুনতে হবে? তবে বাম আমলে সমস্ত ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও এদিন চাঞ্চল্যকর দাবি করেন সুপ্রিমো। তবে যা এখন কাগজ বের হচ্ছে তা সবটাই কোর্ডিনেশন কমিটি করেছে বলে দাবি তাঁর।
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবির পরেই আজ বৃহস্পতিবার আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আজ মহাসমাবেশের ডাক দিয়ে ছিলেন তাঁরা। সেই মহাসমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আন্দোলনকারীরা আসেন শহরে। যা নিয়ে একেবারে উত্তাল কলকাতা।