‘রেডরোডের তামাশার ধিক্কার জানাতে এসেছি’,মহ: সেলিম
নিউজ ডেস্ক::ডিএ আন্দোলনকারীদের মহা সমাবেশের মঞ্চ থেকে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মঞ্চে উঠেই তিনি বলেছেন রেডরোডের তামাশার ধিক্কার জানাতে এসেছি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রেডরোডে ৩০ ঘণ্টার ধরনা কর্মসূচিতে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ শহিদ মিনারে মহাসভা করছে ডিএ আন্দোলনকারীরা। যৌথ মঞ্চের ডাকে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। তাতে রাজ্যের সব বিরোধী দলের নেতাদেরই আমন্ত্রণ জানিয়েচিল যৌথমঞ্চ। সেই মঞ্চেই
হাজির হয়েছিলেন বাম নেতারা। সুজন চক্রবর্তী , মহম্মদ সেলিম, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীও উপস্থিত ছিলেন।
সকাল থেকেই শহর জুড়ে সরকারি কর্মীদের মিছিল শুরু হয়। সকালে হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে সরকারি কর্মীদের মিছিল আসতে শুরু করেছিল সমাবেশ চত্ত্বরে। জেলা থেকে সরকারি কর্মীরা সকাল থেকে এসে যোগ দিচ্ছিলেন শহিদ মিনারের ধরনা মঞ্চে। সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। ৬৩ দিনে পড়ল যৌথ মঞ্চের এই আন্দোলন। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে অনড় তাঁরা। তাঁদের প্রাপ্য টাকা না দিলে কিছুতেই তাঁরা বাড়ি ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন।
গতকাল ডিএ আন্দোলনকারীদের সমাবেশকে কটাক্ষ করে তীব্র আক্রমন শানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তিনি তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, যাঁরা চিরকুট দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাঁরা বসেছেন ধরনায়। আবার বৃহস্পতিবারও ডিএ আন্দোলনকারীদের তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা জবাব দিয়েছে আন্দোলন কারীরাও। তাঁরা বলেছেন, “দিদি যদি ১২ বছর চোর-ডাকাতদের সঙ্গে কাজ করে বিশ্বশ্রী নিয়ে আসেন আমি সেই চোর-ডাকাতদের দলেই। আমরা যোগ্যতা নিয়ে চাকরি করছি। উনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কীভাবে রাজ কর্মচারিদের চোর-ডাকাত বলতে পারেন? কাদেরকে কী বলতে হয় জিভে আটকালো না?”
বৃহস্পতিবার ধর্নামঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের আবারও নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘টাকা পাচ্ছে, পেনশন নিচ্ছে, আর কী চাই বাবু? রাজ্য সরকারের কর্মী হয়ে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়া যাবে না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘জনগণের টাকা নিয়ে পেন ডাউন করবেন বলছেন। সাইলেন্স প্লিজ। আগে ১ তারিখে মাইনেও পেতেন না। এখন ১ তারিখে পেনশন পান। চিরকুটে চাকরি পেয়ে ৫৫-৬০ হাজার টাকা পেনশন পায়।’ মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের পর ক্ষোভে ফুঁসছে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।