কেমন থাকবে শনিবারের আবহাওয়া?
নিউজ ডেস্ক::সকালে আকাশ মেঘলা। তবে শুক্রবার রাতে রাজ্য জুড়েই চলল ঝড় বৃষ্টি। এর মধ্যে প্রকোপটা বেশি ছিল উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা এবং রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবারও এই পরিস্থিতি চলতে থাকবে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে ঢোকার জন্যই এই পরিস্থিতি বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিল সোমবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে। শনিবার সকালে তাপমাত্রা তুলনামূলক হ্রাস পেয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টাতেও তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে তার পরের তিন দিন ফের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২ এপ্রিল ,রবিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার উন্নতি হবে রবিবার থেকে। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে। উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গেও আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে তারপরের তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ মেঘলা থাকবে। ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুতের সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কোনও কোনও জায়গায়। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ও ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি নিচে। শুক্রবার এই তাপমাত্রা ছিল ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তফাত প্রায় ৫ ডিগ্রির মতো। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ।
উত্তরবঙ্গের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ঝড় বৃষ্টি চলছে। শুক্রবার রাতে উত্তর দিনাজপুরেও ঝড়বৃষ্টি হয়। বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমানে
ঝোড়ো হাওয়ায় সঙ্গে বৃষ্টিও হয়। বাদ যায়নি কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, মুর্শিদাবাদও।