তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহার গ্রামের বাসিন্দারা চাইছেন শাস্তি!
নিউজ ডেস্ক::আপাতত নিজের বাড়িতে সিবিআই-এর নজরবন্দি তৃণমূলের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সূত্রের খবর এদিন সকালেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলে সম্পত্তির উৎস নিয়ে। এদিকে জীবনকৃষ্ণ সাহার নিজের গ্রামবাসীরাই নেতার শাস্তির দাবি তুলেছেন। প্রসঙ্গে ২০২১-এর নির্বাচনে নিজের গ্রামেই পিছিয়ে ছিলেন বড়ঞার বিধায়ক।
তৃণমূলের শিক্ষক নেতা জীবনকৃষ্ণ সাহার বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি বীরভূম থেকেও। সিবিআই সূত্রের খবর, নিজের নামেই কোটি কোটি টাকার জমি কিনেছিলেন বড়ঞার বিধায়ক। জমি কেনার সরকারি নথির কিছু অংশ ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকদের হাতে এসেছে। ২০১৮-২২-এর মধ্যে কয়েক কোটি টাকার জমি কেনা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জমি কিনেছিলেন কেষ্টভূমি বীরভূমেও। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাপ্ত নথি অনুযায়ী, বোলপুর পুরসভা এলাকায় সাড়ে পাঁচ কাঠা জমি কিনেছিলেন বিধায়ক। যে এলাকার বিধায়ক জমি কিনেছিলেন, সেই জায়গায় জমির দরটাও অনেকটাই বেশি বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু জায়গায় বিধায়কের সম্পত্তি রয়েছে।
সূত্রের খবর, শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ এলাকায় চার কাঠা জমি রয়েছে বিধায়কের নামে। শুধু তাই নয়, সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকাতেও তাঁর নামে সব মিলিয়ে প্রায় ২৪ কাঠা জমি রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সাঁইথিয়া পুরএলাকায় তাঁর একটি তেলকল রয়েছে বলেও সিবিআই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
এছাড়াও তিনি কোল্ড স্টোরেজ ও রাইস মিলের মালিক বলেও সিবিআই সূত্রের দাবি। বীরভূমে বিধায়কের একাধিক ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলেও সূত্রের দাবি। বিধায়কের এই বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি কীভাবে হল, সেই বিষয়টিও নজরে রয়েছে সিবিআই-এর। নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই এই বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
এদিকে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বড়ঞার আন্দি গ্রামে নিজের বুথেই পরাজিত হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। তারপর থেকে তিনি আন্দি গ্রামে কোনও উন্নয়ন করতে চাননি বলেই স্থানীয়দের অভিযোগ। আর সেই কারণেই এবার গ্রামের বাসিন্দারা জীবনকৃষ্ণ সাহার শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। গ্রামের বাসিন্দা গৌর কর্মকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন মানুষের টাকা নিয়ে অনৈতিক কাজ করেছেন তিনি ।