নিজাম প্যালেসে তলব বিভাসকে!
নিউজ ডেস্ক::নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একযোগে কাজ শুরু করেছে ইডি-সিবিআই। নববর্ষের প্রথম দিন থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একদিকে যখন জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জেরার জন্য বিভাস অধিকারীকে তলব করল সিবিআই।
আজই অর্থাৎ রবিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। এর আগে ইডির স্ক্যানারে ছিলেন বিভাস অধিকারী। গতকাল সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যে ৬ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া নথির উপর ভিত্তি করেই তলব করা হয়েছে বিভাস অধিকারীকে।
এদিকে আবার এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বিভাস অধিকারী প্রকাশ্যে ইডি-সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘দেখা হবে রাজনীতির ময়দানে’। বিভাস অধিকারীর এই মন্তব্যের পর নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি বিভাস অধিকারী হাজিরা দেবেন না। কী করবে তাহলে ইডি-সিবিআই। অয়নের পর কী তাহলে এবার বিভাস অধিকারীর হাতে হাতকড়া পড়াবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বিভাস অধিকারীরে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মাস্টার মাইন্ড বলে দাবি করেছে ইডি। ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষে ছিলেন তিনি। বিএড,ডিএলএড কলেজের অনুমোদনও পাইয়ে দিতেন তিনি। অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্যও কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি।
নিজেকে অনুকূল ঠাকুরের শিষ্য বলে দাবি করেন তিনি। বীরভূমে তাঁর একটি আশ্রমও রয়েছে। সেটি একেবােরই নিজের ব্যক্তিগত ট্রাস্ট চালান তিনি। যদিও পরে তিনি দাবি করেছিলেন সেটি অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম। তদন্তকারীদের অনুমান নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই এই আশ্রমটি তৈরি করেছিলেন বিভাস অধিকারী। এবং এই আশ্রমেক মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করা হত।
আবার নিজের নতুন রাজনৈতিক দলের কথা জানিয়েছেন বিভাস অধিকারী। আর্য মহাসভা নামে নতুন রাজনৈতিক দলের সভাপতি তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এবং প্রতিটি নির্বাচনে তিনি আর্য মহাসভার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছে বিভাস অধিকারী। নির্বাচন কমিশন নাকি তাঁর এই নতুন রাজনৈতিক দলের অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছে।