মুকুল রায়ের বিজেপিতে ফেরার প্রশ্নে ‘বাধা’
নিউজ ডেস্ক::বিজেপির রাজ্য নেতারা অনেকে সামনে থেকে মুকুল রায়ের দলে ফেরার বিরোধিতা করছেন। পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সদর দফতরের সামনে মুকুল রায়ের বিজেপিতে ফেরার বিরোধিতা করে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন কর্মীরা। সেই পরিস্থিতিতে পরিবারকেই দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়।
সোমবার রাতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। তবে শুক্রবারও সেখানে মুকুল রায়ের একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার ছাড়া আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন বিজেপি নেতা দাবি করেছেন, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতেই তিনি দিল্লিতে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনও শীর্ষ বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি। পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের বেশিরভাগই মুকুল রায়ের বিজেপিতে ফেরার বিরোধিতা করেছেন।
মুকুল রায় সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, তিনি (মুকুল) যখন দল ছেড়েছিলেন, সেই সময় ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা, দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। মুকুল রায়ের ব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
দিন দুয়েক আগে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ওঁকে কে দলে নেবেন, তা তিনি জানেন না। ওঁর মধ্যে কিছু আর অবশিষ্ট নেই। ছেলে বলছে বাবা পাগল। তবে আগে বাবা-ছেলেকে ঠিক করতে হবে কে কী? মুকুল রায়ের বাংলা থেকে সিপিআইএমকে তাড়ানোর মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন করেছেন, বাংলায় কি সিপিআইএম আছে?
তিনি পাগল কিংবা ভুল বকছেন, এই মন্তব্য মানতে রাজি নন মুকুল রায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাঁর দাবি, তিনি সুস্থই রয়েছেন। বাড়ির লোকই তাঁকে অসুস্থ প্রমাণ করতে চাইছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর দাবি মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণের চেষ্টাও করা হয়েছিল।
মুকুল রায় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তৃণমূলে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। তিনি বিজেপির হয়ে আগামী দিনে কাজ করতে চান। তৃণমূলে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ার বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানালেও, এব্যাপারে কিছু বলেননি বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়।
মুকুল রায়ের বিজেপিতে ফেরার বিরোধিতা করে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরের সামনে বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের তরফে শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভকারীরে মুকুল রায়কে দলে ফেরানোর বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন। ২০২১-এ প্রাক্তন তৃণমূলীদের প্রার্থী করার পিছনে মুকুল রায়ের ভূমিকা ছিল বলেও অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।