নোবেলজয়ীর জমি ‘দখল’ রুখতে বার্তা মমতার
নিউজ ডেস্ক::জমি খালি করতে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে চরম সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বিশ্বভারতী। এমনকি তা না করা হলে বল প্রয়োগের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অর্থনীতিবিদ। আর এর মধ্যেই ‘প্রতীচী’র সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসার নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সমস্ত বাউল শিল্পীদের নিয়ে নোবেলজয়ীর শান্তিনিকেতনের বাড়িতে বসার জন্যে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। যেখানে একাধিক বিষয় আলোচনা হয়। আর সেই বৈঠকে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বাড়ির জমি নিয়ে চলা সমস্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তাঁকে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেখানে বীরভূমের বাউল শিল্পীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থানে বসার কথা বলেন তিনি। এমনকি শুভাপ্রসন্ন, কবির সুমনদের মতো বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে যাওয়ার কথাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমদেরও যাওয়ার কথা বলে দাবি এক সংবাদমাধ্যমের। বলে রাখা প্রয়োজন, অমর্ত্য সেনকে দেওয়া আগামী ১৫ দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা শেষ হচ্ছে। আর তা আগামী ৬ মে শেষ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সময়েই শান্তিপূর্ণ ভাবে এই ধর্না হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে নোবেলজয়ীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শান্তিনিকেতনে মশাল মিছিল হয়েছে। শামিল হয়েছেন সেখানকার মানুষজন। এমনকি কলকাতাতে বুদ্ধিজীবীদের বিক্ষোভ সমাবেশও হয়েছে। এই অবস্থায় পালটা বিশ্বভারতীর উপর চাপ বাড়াতে কৌশল বলে দিলেন এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি যাবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
তবে জোর করে জমি নিয়ে নেওয়া নিয়ে কড়া ভাষায় বিজেপির সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়ে বলেন, ”বাংলায় ওরা আগুন নিয়ে খেলছে। আমি ওদের ঔদ্ধত্য দেখেছি”। বুলডোজার দিয়ে অমত্য সেনের বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। বলেন, যদি অমর্ত্য সেনের বাড়ি ভাঙে আমি বসব সেখানে গিয়ে। কীভাবে ওরা তা করে আমি দেখে ছাড়ব বলে দাবি হুঁশিয়ারি প্রশাসনিক প্রধানের।