‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমার টুইটার রিভিউ
নিউজ ডেস্ক::‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটি বর্তমানে অনুগামীদের আলোচনার মধ্যে আছে। ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন। লাভ জিহাদ এবং ধর্মান্তরের মতো গুরুতর বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। এই ছবিটি হোস্টেলে থাকা মেয়েদের গল্প, যাদেরকে লভ জিহাদে আটকে সিরিয়ায় পাঠানো হয়েছে এবং তাদের ফেরার কোনোও উপায় পর্যন্ত নেই।
চলচ্চিত্র সমালোচক ও বাণিজ্য বিশ্লেষক সুমিত কাদেল সিনেমাটি নিয়ে পর্যালোচনা করে জানিয়েছেন, আদা শর্মার অভিনয় অসাধারণ, আবেগঘন দৃশ্যে তাঁর অভিনয় বেশ নজরকাড়া। তিনি ছবিটিকে রেটিংয়ে ৪ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সিনেমাটি খুব ভালোভাবে পরিচালনা করেছেন সুদীপ্ত সেন, তিনি তাঁকে সমর্থনও করেন। তাঁর হিন্দি উচ্চারণ অসাধারণ। বাকিরা যারা অভিনয় করেছেন তারাও কিন্তু নিখুঁত অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে সাফল্য লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিনেমা ডিস্ট্রিবিউটর রজত লোখান্ড বলেছেন, আদা শর্মা অনেকদিন ধরে অভিনয় করেছেন, তাঁর অভিনয় অসাধারণ। এই ছবিটি পরিচালনার জন্য সুদীপ্ত সেন কৃতিত্বের শেষ নেই। তিনিও সিনেমাটিকে রেটিংয়ে ৪ দিয়েছেন।
একজন টুইটার ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, আদা শর্মা এই সিনেমায় দারুণ অভিনয় করেছেন। ‘কেরালার গল্পটি কেবল কেরলের গল্প নয়, এটি ভারতের সর্বত্র যে লাভ জিহাদ চলছে তা প্রকাশ করা সত্য ঘটনা, যা সর্বদা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে লুকিয়ে থাকে, এই সমস্ত ঘটনা সকলের জানা উচিত।
ফতিমা খান নামক একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এই সিনেমাটি কিন্তু ঘৃণা ও বৈষম্য ছড়াচ্ছে। দেশে ক্ষোভ ও হিংসা ছড়ানো মূলক সিনেমা এটি। ছবিটি উস্কানিমূলক দৃশ্যে পূর্ণ। আমি বুঝতে পারছি না কীভাবে সেন্সর বোর্ড ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পারমিশন দিল।।’
অপর একজন লিখছেন, সিনেমাটি যে দৃশ্যগুলি দেখানো হয়েছে, তাতে সত্য বলে কিছু নেই। মিথ্যায় ভর্তি সিনেমাটি। তিনি এও জানান আদা শর্মা অভিনয় করতে একদমই জানেন না।
সিনেমাটি মূলত কেরলের ৩২ হাজার নিখোঁজ মেয়েদের গল্প যাদের প্রথমে মগজ ধোলাই করা হয়েছিল এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করা হয়েছিল এবং পরে আইএসআইএস সন্ত্রাসী বানানো হয়েছিল। একই সঙ্গে ছবিটি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও তৈরি হয়েছে। আসন্ন সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী ৫ মে। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি ও সিদ্ধি আদানি। এই ছবির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং প্রযোজকের ভূমিকায় রয়েছেন বিপুল শাহ।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন এই ছবিটিকে ছাড়পত্র দিতে এক মাসের বেশি সময় নিয়েছে। ১০ টি দৃশ্যও কিন্তু সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গতবছর ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাটির টিজার লঞ্চের পর থেকেই খবরে রয়েছে। কারণ এই সিনেমাটি নিয়ে নানান জনের নানান মত রয়েছে। ছবিটি ব্যান করার জন্য মুখ খুলেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, শশী থারুর-সহ অনেকেই। ছবিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কেরলের বাম সরকারও। এই নিয়ে আবেদনও জানায় তাঁরা। তবে এই আবেদনের শুনানি করতে একদমই রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট।