প্রবল ঝটকা, বগি ফেলেই ছুটল ইঞ্জিন
নিউজ ডেস্ক::বড়সড় বিপদ এড়াল হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। প্রবল ঝাঁকুনি দিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে খুলে গেল কাপলিং। যার ফলে বগি ফেলেই কার্যত বেশ কিছুটা ছুটল ইঞ্জিন। মধ্যরাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকড়সেনি এলাকাতে এই ঘটনা ঘটে।
যার ফলে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় ওই লাইনের ট্রেন চলাচল। এমনকি দাঁড়িয়ে পড়ে হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসটি। ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে যান রেলের আধিকারিকরা। কীভাবে এই ঘটনা তা সরজমিনে খতিয়ে দেখা হয়। অন্যদিকে ঘটনার দীর্ঘক্ষণ পর খড়গপুর থেকে বিশেষ ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়।
আর তা লাগিয়ে সকালে ট্রেনটি ফের একবার পুরীর পথে রওনা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেল সুত্রে জানা গিয়েছে হাওড়া থেকে পুরীর উদ্দেশ্যে ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই রাত ১টা ৫ মিনিট নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকুড়সেনি স্টেশনে ঢোকার সময় এই ঘটনা ঘটে। প্রবল ঝাঁকুনি দিয়ে খুলে যায় কাপলিং। কার্যত ইঞ্জিনের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গোটা ট্রেনটি। এই অবস্থায় বেশ কিছুটা এগিয়ে যায় ইঞ্জিন। প্রবল ঝাঁকুনিতে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়। রাতে সবাই ঘুমের মধ্যে ছিলেন।
ঘটনার পরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত রেলের কর্মী এবং আধিকারিকদের পাঠানো হয়। কাপলিং জোড়া লাগানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই কাজ করতে ব্যর্থ হন তারা। এরপর খড়গপুর থেকে বিশেষ বগি নিয়ে আসা হয়। নতুন বগিতে তোলা হয় খুলে যাওয়া বগির যাত্রীদের।
দুর্ঘটনার প্রায় প্রায় ৫ ঘণ্টা পর ফের গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা ধরে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় যাত্রীদের। তবে এই ঘটনায় সমস্ত যাত্রী সুরক্ষিত আছে বলে জানা গিয়েছে। কারোর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই খবর।
তবে এই ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ থমকে যায় ওই লাইনে ট্রেন চলাচল। এমনকি অনেক ধীর গতিতে চালানো হয় বেশ কয়েকটি মালগাড়ি। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ট্রেনটি কারসেডে নিয়ে আসা হবে। এরপর কীভাবে কাপলিং খুলে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
হাওড়া-পুরীগামী সমস্ত ট্রেনগুলিতে যাত্রীদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। এই অবস্থায় এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে সুরক্ষা।