মোদী সরকারের নয় বছর পূর্তি, বাংলায় ব্যাপক পরিকল্পনা
নিউজ ডেস্ক::বাংলায় ২০০-র টার্গেট রেখে থেমে যেতে হয়েছিল ৭৭-এ। পরবর্তী সময়ে তা নেমেছে সত্তরের নিচে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে কর্নাটকে ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। সেই পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তিতে দেশ জুড়ে ব্যাপক প্রচার পরিকল্পনা বিজেপির। যা থেকে বাদ যাচ্ছে না এই বাংলা।
গেরুয়া শিবিরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মোদী সরকারের নয় বছর পূর্তিতে বাংলায় কমপক্ষে একশোটি জনসভা করতে হবে। এই সব জনসভায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাজিরাতেও জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চা চক্র ও নৈশভোজের বন্দোবস্ত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, প্রচারে মোদী সরকারের ভাল দিকগুলি তুলে ধরে জনসংযোগ বাড়াতে হবে। ২০১৪-তে ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকারের ভাল পদক্ষেপ নিয়ে করতে হবে প্রচার। আর যেসব অনুষ্ঠান দলের তরফে করা হবে, সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে হবে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে জনসভাগুলির জন্য প্রচার বাড়াতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান। কর্মসূচি শুরু হবে ৩০ মে এবং শেষ হবে ৩০ জুন। শুরুর দিন অর্থাৎ ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বড় সমাবেশে যোগ দেবেন। এছাড়াও বিজেপির সিনিয়র নেতারা সারা দেশে ৫১ টি সমাবেশে যোগ দেবেন।
বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বাংলার জন্য দেওয়া সার্কুলারে বলা হয়েছে, মণ্ডলস্তরে ১০০ টি জনসভা করতে হবে। এছাড়াও সব লোকসভা কেন্দ্রে বুদ্ধিজীবীদের একত্রিত করতে হবে। সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ, শিল্পী, শিল্পপতি এবং যুদ্ধের নায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।
জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়তে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে অন্তত ২৫০টি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ২৯ মে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে এই রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে থাকবেন সিনিয়র নেতারাও।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে করতে হবে ব্যবসায়ী সম্মেলন। এছাড়াও পুরনো দিনের দলের সঙ্গে থাকা লোকজন কিংবা গেরুয়া দরদীদের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করতে হবে। পাশাপাশি এই কর্মসূচিকে সফল করতে রাজ্য ও জেলাস্তরে কমিটি তৈরি করতে বলা হয়েছে।
বাংলার ক্ষেত্রে রাজ্যে রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। সেদিকে লক্ষ্য রেখেও কর্মসূচি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। বিজেপির এই কর্মসূচি ও প্রচার পরিকল্পনা আসন্ন ভোটে কতটা প্রভাব ফেলে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বেশ কয়েকটা মাস।