মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

0 0
Read Time:5 Minute, 20 Second

নিউজ ডেস্ক::মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোড়া আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছিলেন তা মিথ্যা বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ চালু করেছেন। এর মাধ্যমেও দল ও সরকারকে তিনি মিশিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকেও নিশানা করেন শুভেন্দু।

বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও হামসফর এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ৭ জুন একটি অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকার। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে চেক তুলে দিয়েছিলেন। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েও তিনি সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।

নেতাজি ইনডোরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন নিহতদের ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হতো। উল্লেখ্য, রেল মন্ত্রকের তরফে নিহতদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকেও নিহতদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লক্ষ টাকার ঘোষণা হয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেন, টাকা দয়া করে দিচ্ছেন না। আমিও রেল মিনিস্টার ছিলাম। আমরা ১৫ লাখ দিতাম। যদিও শুভেন্দু জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর তৎকালীন রেলমন্ত্রী নিহতদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিলেন। সেটা প্রমাণে ভিডিও পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা।

সঙ্গে ক্যাপশনে শুভেন্দু লেখেন, “গতকাল প্রাক্তন বিধায়ক শ্রী দীপক ঘোষ মহাশয়ের লেখা একটি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম “মিথ্যাশ্রী”। মার শুভেচ্ছা রইল, বইটি নিশ্চই বাঙালি পাঠক-পাঠিকাদের মনে জায়গা করে নেবে। আশা করি ভবিষ্যতে যখন এই বইটির নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হবে তখন “রেল দুর্ঘটনা ও ক্ষতিপূরণ” অধ্যায়টিও যুক্ত হবে।
এখানেই শেষ নয়, দিদিকে বলো ও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী-র একই হেল্পলাইন নম্বর নিয়েও নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দুটির হেল্পলাইন নম্বরই হলো 9137091370। এই বিষয়ে রাজ্য়ের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে শুভেন্দু পাঁচটি প্রশ্ন করেছেন। জানতে চেয়েছেন, আইপ্যাক কি নবান্ন দেখছে, নাকি উল্টোটা?

আগে যে ফোন নম্বরটি একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার হয়েছিল সেটাই রাজ্যের নাগরিকদের অভিযোগ জানানোর জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্তটি কে নিয়েছেন? এই ফোন নম্বরটি রাজ্য সরকার নিয়ে থাকলে তা কবে নেওয়া হয়েছে, সেটাও জানতে চান শুভেন্দু। নম্বরটি সরকারকে ট্রান্সফার করা হয়েছে, নাকি পূর্ববর্তী গ্রাহকের কাছেই আছে?

শুভেন্দুর পঞ্চম প্রশ্নটি হলো, রাজ্য সরকার কি কল সেন্টার চালানোর পরিকাঠামো তৈরি করেছে? নাকি দিদিকে বলো যারা চালাতেন তাঁদের উপর নির্ভর করা হচ্ছে? রাজনৈতিক কর্মসূচি চালানোর পরিকাঠামোয় থাকা ব্যক্তিগত রাজ্য সরকার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নিয়েছে কিনা তাও জানতে চান শুভেন্দু।

বিরোধী দলনেতার দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী চালু করা হয়েছে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আচরণবিধি লাগু হওয়ার কিছু আগেই। সব দফতরকে এর প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ, তৃণমূল কংগ্রেসের ফোন নম্বর দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার করা হচ্ছে। যার খরচ সরকার বহন করছে, টিএমসি নয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!