তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির কোমরে বন্দুক
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বেই উত্তাল বাংলা! আজ শনিবার সকাল থেকেই রণক্ষেত্র ডোমকল। মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ।
আর এর মধ্যেই সালারপুরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার দুপুরে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ধৃত ওই তৃণমূল নেতার নাম বাসির মোল্লা বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এভাবে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার কাছ থেকে বন্দুক উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। কড়া ভাষায় এহেন ঘটনার সমালোচনা করেছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। বিজেপি নেতার দাবি, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এই ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া কোনও ভাবেই শান্তিপূর্ণ ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্ভব নয় বলেই দাবি বিজেপির।
কড়া ভাষায় রাজ্যের সমালোচনা করেছেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসন ভোট বলেও কটাক্ষ তাঁর। অন্যদিকে ডোমকলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গ্রেফতারের ঘটনায় জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান অপুর্ব সরকার বলেন, এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। পুলিশ কাউকে ডাকতে পারে-আইনের প্রয়োজনে আটক করতে পারে। তবে আমাকে পুরো বিষয়টি দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ডোমকল। বাম-কংগ্রেস মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাদের আটকানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকি মারধর করা হয় বলেও দাবি। আর এর মধ্যেই সালারপুরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাসির মোল্লাকে আটক করে পুলিশ।
একেবারে প্রকাশ্যে কোমরে বন্দুক গুঁজে ঘুরতে দেখা যায়। কেন সে এভাবে বন্দুক নিয়ে ঘুরছিল তা জানতে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে তৃণমূলের প্রার্থীদের মনোনয়ন নিশ্চিত করতেই নাকি বাসির মোল্লা বন্দুক নিয়ে এসেছিল বলে জেরায় জানিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে শান্তিপূর্ণ ভোটের আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মনোনয়ন পর্বেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে শান্তিপূর্ণ ভোট কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।